এয়ার কোয়ালিটি ৪০০ ইনডেক্স পার। তীব্র বায়ু দূষণের কবলে। রাজধানী দিল্লি।
কোয়ালিটি ৪০০ ইনডেক্স পার করল তীব্র বায়ু দূষণে ধুকছে রাজধানী দিল্লি।। এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে কড়া পদক্ষেপ করল সরকার। একাধিক প্রাথমিক স্কুল বন্ধের নির্দেশ। ভাই পর্যন্ত অনলাইনে পড়াশোনা নির্দেশ দিল সরকার।
এদিকে বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিল্লিতে মৌসুমের সবচেয়ে ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। এ সময় বাতাসের মান ছিল খুবই খারাপ।
ভারতের সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের (সিপিসিবি) তথ্যানুসারে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় দিল্লির বাতাসের গুনগত মান ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ (একিউআই) এক লাফে ৬২ পয়েন্ট বেড়ে ৪৩২ হয়েছে। যার অর্থ, এই মুহূর্তে দিল্লির বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’। দিল্লি এখন একটি গ্যাস চেম্বার যেখানে লোকেরা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মান অনুযায়ী, একিউআই এর মান ১০০ এর নিচে থাকলে তা নিরাপদ বলে মনে করা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় পাঞ্জাবের অমৃতসার ও পাঠানকোট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শূন্য দৃশ্যমানতার কথা জানিয়েছে। সকাল ৭টায় দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে আসে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর বিমানবন্দরেও। এর ফলে স্থগিত করা হয় ফ্লাইট চলাচল।
অক্ষরধাম মন্দিরের চারপাশে সোমবার AQI রেকর্ড করা হয়েছে 357, যা রবিবারের সকাল 7টার AQI 261-এর চেয়ে খারাপ। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডে জানিয়েছে, দিল্লিতে 1 জানুয়ারি পর্যন্ত আতশবাজি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও, আতশবাজি ব্যবহার এবং খড় পোড়ানো থেকে অতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের ফলে বায়ুর গুণমান আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে আরও কিছুটা নামার আশঙ্কা রয়েছে।দিল্লির এক ছাত্র বংশ আগরওয়াল রাজধানী শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন কৌশল এবং উদ্ভাবন ব্যবহার করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন ৷ যানবাহন এবং শিল্প দূষণ-সহ একাধিক কারণে বায়ুদূষণ বৃদ্ধির একাধিক কারণ রয়েছে। যদিও বলা হয় দীপাবলির কারণে এই দূষণ বাড়ছে ৷ কিন্তু, শুধু তাই নয়, এর আরও বেশকিছু কারণ রয়েছে বলেই মত বিজ্ঞানীদের ৷ সুতরাং, এর জন্য শুধুমাত্র দীপাবলিকে দায়ী করা ভুল হবে বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, যমুনা নদীতে বিষাক্ত ফেনার জেরে দূষণ নিয়ে আম আদমি পার্টি (আপ) এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজায় উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে।
+ There are no comments
Add yours