এল নিনোর খেল খতম! আসছে ঘাতক লা নিনা, জ্বালাপোড়া গরম থেকে স্বস্তি দেবে কি লা নিনা?
চলতি বছরের শীত থেকে প্রভাব পড়তে শুরু করবে লা নিনার৷ আর তাতেই যুবুথুবু খাবে বিশ্ববাসী।
এমনই আশঙ্কা প্রকাশ আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের। মর থেকে লাল নিনার সূত্রপাত শুরু হয়ে গেছে।
সাধারণত বর্ষা ঋতুর শেষ পর্যায়ে লা লিনার তাপমাত্রার তীব্র হ্রাস দেখতে পাওয়া যায়। এর কারণে অধিক মাত্রায় বৃষ্টিপাত হতে দেখা যায় যা অতিরিক্ত শীতের প্রবণতা আভাস দেয়।
এটিও একটি স্প্যানিশ শব্দ যার অর্থ ‘ছোট মেয়ে বা দুরন্ত বালিকা’। লা নিনাকে প্রশান্ত মহাসাগারের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার শীতলতা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এটি প্রতি ৩-৫ বছরে ঘটে। মাঝে মাঝে আবার পর পর বছরগুলিতেও ঘটতে পারে। যার ফলে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি আবহাওয়ার ধরনেরও পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ এল নিনোর প্রভাবে তীব্র দহন তো লা নিনার ফলে তৈরি হয় স্বস্তির বাতাবরণ।বিশ্ব আবহওয়া সংস্থা এর আগে বলেছিল যে এল নিনো পরিস্থিতি ডিসেম্বরে শীর্ষে পৌঁছেছিল। তবে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে বেশিরভাগ অঞ্চলেই তীব্র তাপপ্রবাহ এবং বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাপমাত্রা অতীষ্ট করে তুলেছিল জনজীবন। কম বৃষ্টির ফলে বেশ কিছু অঞ্চলে খরার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।
লা নিনা সক্রিয় হবার সাথে সাথে এবছরের শীত তীব্র হতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যে IMD জানিয়েছে যে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা ঋতুর শেষার্ধে এটি গড় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।লা নিনা সমুদ্র পৃষ্ঠ এবং এর উপরে থাকা বায়ুমণ্ডল উভয়কে ঠান্ডা করে বিপরীত প্রভাব কে প্ররচিত করে।