কসবা তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চললো। অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা
উৎসবের মেজাজে থাকা কলকাতায় ভর সন্ধ্যায় শুটআউট। এবার কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে টার্গেট করে চলল গুলি। এমনই অভিযোগ উঠেছে। প্রথম বারে গুলি বেরোয়নি। পরে যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তা গিয়ে লাগে দরজায়। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, সুশান্ত ঘোষ এদিন যখন বাড়ির সামনে বসেছিলেন তখনই এমন ঘটনা ঘটে যায়।
কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে এই গুলি চালনাকাণ্ডে অভিযুক্তরা ধরা পড়েছে বলে খবর। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, সুশান্ত ঘোষের খুব কাছে গিয়ে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। জানা যাচ্ছে, সুশান্ত ঘোষ যখন বাড়ির সামনে বসেছিলেন, তখনই এই দুষ্কৃতীরা তাঁর সামনে আসেন। তাঁর বুকে বন্দুক ঠেকান বলেও অভিযোগ। অভিযোগ, একজন বন্দুকের ট্রিগার চাপে, কিন্তু ট্রিগার লক হয়ে যায় তখনই। আরও একটি বার ট্রিগার চাপতে যায় দুষ্কৃতী, তখনও ট্রিগার লক হয়ে যেতেই সুশান্ত ঘোষ দুষ্কৃতীদের গালে মারেন থাপ্পড়। তখনই বন্দুক হাত থেকে পড়ে যায় দুষ্কৃতীদের। গুলি ছিটকে গিয়ে লাগে বাড়ির দরজায়। এরপরই চিৎকার চেঁচামিচিতে আশপাশের এলাকার লোকজন ছুঁটে আসেন। তখনই তাঁরা ধরে ফেলেন দুষ্কৃতীদের। অভিযোগ, তখনও এক দুষ্কৃতী বন্দুকটি তোলার চেষ্টা করে। তবে ততক্ষণে জনতা ঘিরে ধরে তাদের। ব্যাপক মারধর করা হয় দুষ্কৃতীদের। অভিযুক্তকে গণধোলাই দেওয়া হয়। পরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পরই ওই দুষ্কৃতীদের নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। ঘটনার জেরে স্বভাবতই আতঙ্কে রয়েছেন সুশান্ত ঘোষ। যদিও যে দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে, তার বক্তব্য, মকম্মদ ইকবাল নামে এক ব্যক্তি তাকে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। টাকার ছবি দেখানো হয়েছিল তাকে। এদিকে, সুশান্ত ঘোষ বলছেন, ‘যে এসেছিল সে বাচ্চা ছেলে। পুরো নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আসে।’ তিনি বলছেন, যে ধরনের অস্ত্র ওই দুষ্কৃতী এনেছিল তাতে মনে হচ্ছে, কোনও প্রফেশনাল ব্যক্তি এর নেপথ্যে রয়েছে। সুশান্ত ঘোষ বলছেন ‘বড় কেউ’ এর নেপথ্যে রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এর নেপথ্যে কোনো দলীয় গোষ্ঠীদন্দ্ব রয়েছে ?
+ There are no comments
Add yours