কী করণীয় কৌশিকী অমাবস্যায় :
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে কৌশিকী অমাবস্যায় উপবাস পালন করতে পারলে খুবই ভালো হয় নিজেকে সাত্ত্বিক ভাবে রাখাও ভালো, পুরোপুরি উপবাস রাখতে না পারলে নিরামিষ আহার করুন। কৌশিকী অমাবস্যার সন্ধেয় বাড়ির মূল প্রবেশপথের সামনে দরজার দু-পাশে দুটো তিলের তেলের প্রদীপ রাখলে মা লক্ষীর বিশেষ কৃপা লাভ হয় এমনকি সব অশুভ শক্তি দূর হয়।
কৌশিকী অমাস্যায় মা তারার পায়ে রক্তজবা ফুল ও লাল সিঁদুর নিবেদন করে ভক্তিভরে মায়ের কাছে প্রার্থনার ফলে মা তারার আশীর্বাদে জীবনের যাবতীয় থেকে অমাবস্যার কালো প্রভাব দূর হয়। কৌশিকী অমাবস্যার সন্ধেয় বাড়ির কাছাকাছি পুকুরের জলে দুধ দিলে মা তারার আশীর্বাদে জীবনের সব বাধা বিপত্তি দূর হবে। কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে আপনার বাড়িঘর খুব ভালো ভাবে পরিষ্কার রাখাই অত্যন্ত জরুরি। কোথাও যেন একটুও নোংরা আবর্জনা না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাড়ির সামনে উঠোন থাকলে সেটিও ভালো করে ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করুন।
এদিন ঘরে কোনও এঁটো বাসন ফেলে রাখবেন না। নোংরা জামাকাপড় পরিষ্কার করাই ভালো। যে সব জামাকাপড় আর পরবেন না, সেগুলি কাউকে দিয়ে দিন বা ফেলে দিন। একটি জলহীন শুকনো নারকেলের এক দিক ফুটো করুন। এরপর ওই ফুটোতে চিনি দিয়ে ভর্তি করুন। ওই নারকেলটি বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে দিন পোঁতার সময় নারকেলের ফুটো যেন উপর দিকে থাকে। খেয়াল রাখবেন এই কাজ করার সময় আপনাকে যেন কেউ দেখতে না পায়। কৌশিকী অমাবস্যায় এই টোটকার ফলে জীবনের সমস্ত দুঃখ দুর্দশা দূর হয়। এছাড়া মায়ের পুজো দিলেও মা কৃপা করেন ভক্তদের।