কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক: 93,400 টাকার অঙ্কে কম পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের কর্মচারীরা
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার (DA) পরিমাণ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (AICPI) এর ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে, শীঘ্রই তাদের 3 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি হতে পারে, যা তাদের মোট মহার্ঘ ভাতাকে 53 শতাংশে পৌঁছাবে। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা আরও বড় অঙ্কের টাকা হাতে পাবেন।এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এখনও 14 শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন, যা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের তুলনায় অনেক কম। পশ্চিমবঙ্গের কর্মচারীরা এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, কারণ বাকি সমস্ত রাজ্যগুলিতে মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণ করা হয় AICPI এর ভিত্তিতে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা 14 শতাংশে সীমাবদ্ধ রয়েছে। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের তুলনায় মাসে হাজার হাজার টাকা কম বেতন পাচ্ছেন।কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা বর্তমানে 53 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন, এবং রাজ্য কর্মচারীরা পাচ্ছেন 14 শতাংশ। এর ফলে, দুই শ্রেণির মধ্যে 39 শতাংশের ফারাক তৈরি হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বেসিক স্যালারি 20,000 টাকা হয়, তাহলে তিনি মহার্ঘ ভাতা হিসেবে 10,600 টাকা পাবেন (53% এর হিসাবে)। এবং বছরে এই পরিমাণ মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ দাঁড়াবে 1,27,200 টাকা।অন্যদিকে, যদি একই পরিমাণ বেসিক স্যালারি (20,000 টাকা) সহ একজন রাজ্য সরকারি কর্মচারী থাকেন, তাহলে তিনি মাত্র 14 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন, যার অঙ্ক হবে 2,800 টাকা প্রতি মাসে। ফলে, ওই কর্মচারী বছরে মাত্র 33,600 টাকা মহার্ঘ ভাতা পাবেন।এটি পরিষ্কার যে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা প্রতি মাসে 7,800 টাকা কম মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন, এবং বছরে তাদের ফারাক দাঁড়াচ্ছে 93,400 টাকার।রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাঁরা দাবি করছেন যে, তারা কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের তুলনায় বছরে প্রায় এক লাখ টাকা কম পাচ্ছেন। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন, এবং কিছু কর্মচারী রাস্তায় নেমে আন্দোলনও করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতো মহার্ঘ ভাতার দাবি নিয়ে। তবে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সমাধানসূত্র আসেনি।এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আগামী দিনে আরও আন্দোলন হতে পারে, এবং কংগ্রেস সরকারের উপর চাপ তৈরি হতে পারে।
+ There are no comments
Add yours