ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধের স্ট্রিপে বার কোড
আরজি করের ঘটনার পরে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। এই আর্থিক অনিয়মের বিভিন্ন পন্থার মধ্যে একটা হলো ওষুধে জালিয়াতি। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমেই বাড়ছে জাল ওষুধের রমরমা— এই অভিযোগে জেরবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে উঠেছে যে, প্রাণদায়ী ওষুধের জালিয়াতি ঠেকানো রীতিমতো কঠিন হয়ে উঠেছে বলে একান্তে স্বীকার করছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷ এই পরিস্থিতিতে এ বার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের স্ট্রিপ ও ইঞ্জেকশনের ভায়ালের গায়ে বার কোড বা কিউআর কোড বসানো বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও৷নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের দাবি, সম্প্রতি ড্রাগ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজ়রি বোর্ড বা ডিটিএবি-র সঙ্গে বৈঠকে ক্যান্সারের ওষুধের স্ট্রিপ ও ইঞ্জেকশনের ভায়ালের গায়ে বার কোড বা কিউআর কোড বসানোর বিষয়ে একপ্রস্ত আলোচনা করেছেন সিডিএসসিও কর্তারা৷ এর পরেই গোটা প্রক্রিয়াটি নিয়ে এগোনোর ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন তাঁরা৷
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের সঙ্গেও আলোচনা করা হতে পারে৷ এর আগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের গায়ে বার কোড ও কিউআর কোড লাগানো হলেও ক্যান্সারের ওষুধের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি৷ সেটা চালু হলে ওষুধের জালিয়াতি অনেকটাই রোধ করা সম্ভব বলে দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তাদের