গঙ্গাসাগর মেলা কড়া নিরাপত্তা ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা প্রস্তুত
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা, যা প্রতি বছর লাখ লাখ তীর্থযাত্রীর সমাগম ঘটায়। মেলার প্রস্তুতি নিতে ইতিমধ্যেই প্রশাসন একেবারে তুঙ্গে পৌঁছেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই মেলার আগের দিন গঙ্গাসাগরে পরিদর্শনে যাবেন এবং এর নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন। মেলা উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে কোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার সুরক্ষা :গঙ্গাসাগর মেলা এমন একটি জায়গা যেখানে প্রতিবছর ব্যাপক মানুষের সমাগম হয়, তাই অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সুজিত বসু, রাজ্যের দমকলমন্ত্রী, শনিবার গঙ্গাসাগরের অগ্নি নির্বাপন প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন। এবছর, মেলার অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে ১২টি অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলি কাকদ্বীপ, নামখানা, কচুবেড়িয়া এবং গঙ্গাসাগর এলাকাগুলিতে থাকবে।প্রতি বছর গঙ্গাসাগরে যেসব বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার জন্য ৫০টি দমকল গাড়ি এবং ৫০টি মোটরবাইক প্রস্তুত থাকবে। মোটরবাইকগুলিতে থাকবে ফোম যাতে সংকটজনক পরিস্থিতিতে দ্রুত পৌঁছানো যায়। প্রতিটি মোটরবাইকে ৩০ লিটার জল পরিবহন করার ক্ষমতা থাকবে, যা ভিড়ের মধ্যে বা সরু গলিতে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। ৪৫০ জন দমকল আধিকারিকের উপস্থিতি: মেলা শুরু হওয়া পর্যন্ত ৪৫০ জন দমকল আধিকারিক গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন অংশে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। এছাড়া, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু গঙ্গাসাগরে একদিনের সফরের অংশ হিসেবে গঙ্গাসাগর মেলা অফিসে দমকল আধিকারিকদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।এছাড়াও, স্নান উপলক্ষে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, স্বাস্থ্য, জলদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। গঙ্গাসাগর মেলা একটি বিশাল জনসমাগম হয়, তাই প্রশাসন এটিকে নিরাপদ ও সুষ্ঠু করতে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে
+ There are no comments
Add yours