চার্জশিট দাখিল হলে ৩৬ দিনের মধ্যে ফাঁসি! বাংলায় ধর্ষণরোধী ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল ২০২৪’-এ কী কী আছে জেনে নিন
#aparajitaact#asianews#viralpost2024
এই বিলের মধ্যে, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত অনেক বিধি তৈরি করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য একটাই, রাজ্যে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ দমন করা।
আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজে একজন জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে, যার পরে মানুষ বর্তমানে রাজ্যের রাস্তায় ন্যায়বিচারের আবেদন করছে। জুনিয়র ডাক্তাররা কলকাতার লাল বাজারের রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন এবং শুধু কলকাতার নির্ভয়ার বিচার দাবি করছেন না, মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ‘অপরাজিতা’ বিল পেশ করলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। যে বিলে ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। রয়েছে জরিমানা বিধানও। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ২০১২ সালের পকসো আইনের বিভিন্ন ধারার সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে ‘অপরাজিতা’ বিলে। যে বিলের পুরো নাম হল – ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ নম্বর ধারায় ধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে। দণ্ডিতের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। রয়েছে জরিমানারও বিধান। অপরাজিতা বিলে ধর্ষণের ক্ষেত্রে ফাঁসির বিধান রাখা হয়েছে। অথবা দণ্ডিত যতদিন জীবিত থাকবে, ততদিন জেলে থাকার বিধান আছে। সঙ্গে আছে জরিমানারও বিধান।এই বিলে বলা হয়েছে নির্যাতিতা যদি কোমায় থাকেন বা আচ্ছন্ন অবস্থায় থাকেন, তাহলেও মৃত্যুদণ্ড হবে দোষীর। অন্যদিকে একই অপরাধের ক্ষেত্রে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৬ নম্বর ধারার আওতায় দণ্ডিতের ন্যূনতম ২০ বছরের জেল হবে। যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। আছে জরিমানার বিধান।
গণধর্ষণের ক্ষেত্রে অপরাজিতা বিলে মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে।
সঙ্গে আছে জরিমানার বিধান।