দক্ষিণবঙ্গে টানা বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলছিল। শনিবার দিন বৃষ্টি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি দক্ষিণের বেশ কয়েকটি জেলায়। বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার জন্য ডিভিসি জল ছাড়া হয়েছে আর সেই জল ছাড়াই দুর্ভোগ চরমে ওঠে।
রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঞ্চেৎ জলাধার থেকে ১ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে এক লক্ষ ১৪ হাজার ৩২৯ কিউসেক জল, এর ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে হাওড়া, হুগলি ,পশ্চিম বর্ধমান ,পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়ায়। চিন্তার মধ্যে পড়েছেন মাইথন দুর্গাপুর ব্যারেজের জল ছাড়ায়।
সেচ দপ্তরের পরামর্শে প্রশাসন জামালপুর ব্লক কে সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও দামোদর নদীর ধারে খন্ডঘসের একটি গ্রামকেও প্রশাসন সতর্ক করেছে।
ডিভিসি র জল ছাড়ার কারনে জল বেড়েছে রূপনারায়ণ ও মুন্ডেশরী, তার ফলে হুগলির খানাকুলের বেশ কিছু গ্রামে জল ঢুকে সেখানকার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে। খানাকুল, গোঘাট একাধিক গ্রাম জলমগ্ন জলের তলায় চলে গেছে।
এছাড়াও
ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর উদয়নারায়নপুরের গ্রামের একাংশ জলের তলায় । সেখানকার গ্রামবাসীদের ঘরের উঠোনেই হাঁটুর সমান জল। রূপনারায়ণ নদীর জল বাড়ার কারণে অস্থায়ী সেতু টি ও ভেঙে গিয়েছে।
প্লাবন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে জানিয়েছেন…..ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের সঙ্গে তার কথাবার্তা হয়েছে। না পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তেনুঘাট থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যার ফলে বাংলায় বন্যা শুরু হয়েছে। তাকে অনুরোধ করা হয়েছে এই বিষয়টি দেখতে।