News Desk : টোকিয়োর হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুই বিমানের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু। হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় জাপানি উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বিমানে ধাক্কা মেরেছিল জাপানি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। ওই বিমানে আট শিশু এবং ১২ জন ক্রু সদস্য সহ মোট ৩৭৯ জন ছিলেন। তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করা গেলেও, উইপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমানে থাকা ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানি কোস্টগার্ড।
জাপানি এয়ারলাইন্সের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী বিমানটি হোক্কাইডো দ্বীপের শিন-চিটোসে বিমানবন্দর থেকে টোকিয়োর হানেদা বিমানবন্দরে এসেছিল। অবতরণের সময়ই কোস্টগার্ড বিমানের সঙ্গে সেটির ধাক্কা লাগে। ঘটনার পর হানেদা বিমানবন্দরের সমস্ত রানওয়েগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কার্যালয় থেকে, ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত মূল্যায়ন করে জনসাধারণের কাছে তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর, জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটিকে জ্বলতে থাকা অবস্থাতেই রানওয়ে বরাবর চলতে দেখা গিয়েছিল। সেটি থামার পরই দ্রুত, যাত্রী ও কত্রু সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
আগুন নেভাতে ৭০টিরও বেশি দমকলের ইঞ্জিন মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, বিমানটি আগুনে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। আগুনে পুড়ে বিমানটি মাঝখান থেকে দুই ভাগে ভেঙেও গিয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে জাপানে কোনও বড় মাপের বাণিজ্যিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। ১৯৮৫ সালে, টোকিয়ো থেকে ওসাকা যাওয়ার পথে একটি জাপান এয়ারলাইন্সের জাম্বো জেট মধ্য গুনমা অঞ্চলে ভেঙে পড়েছিল। মোট ৫২০ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্যরা সকলেই নিহত হয়েছিলেন। বিশ্বের সবথেকে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনার একটি ছিল এই দুর্ঘটনা। তারপর থেকে বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি।