ট্যাব কেলেঙ্কারিতে জেরবার রাজ্য! এবার গায়েব বাঁকুড়ার ১০টি স্কুলের ৪৭ জন পড়ুয়ার টাকা
রাজ্যজুড়ে একের পর এক অভিযোগ উঠছে ট্যাব কেলেঙ্কারির। রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্নীতি। লাগাতার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠছে ট্যাব কেলেঙ্কারির অভিযোগ। দিনের পর দিন পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ জমতে থাকায় এবার কার্যত নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে আবার সেই একই ঘটনা ঘটলো বাঁকুড়াতে। সম্প্রতি এই জেলার মোট দশটি স্কুলের ৪৭ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা চলে গিয়েছে অন্য কারও অ্যাকাউন্টে। শিক্ষা দপ্তরের দাবি দ্রুত ওই টাকা ফেরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অ্যাকাউন্টের টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলেই খবর।
সম্প্রতি সারা রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই এই ট্যাব কেলেঙ্কারির অভিযোগ আসছে। রাজ্য সরকারের এই ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে সরকারি স্কুলের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের অনলাইনে পড়াশোনার জন্য ট্যাব কেনার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। করোনার সময় থেকেই এই প্রকল্প চালু রয়েছে। তবে ইদানিং পড়ুয়াদের এই ট্যাব কেনার টাকা নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্নীতি।
সম্প্রতি এই ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে খোঁজখবর করতেই জানা যায় বাঁকুড়া জেলা পরিষদের একাংশের ট্যাবের টাকা চলে গিয়েছে অন্য কারো অ্যাকাউন্টে। বাঁকুড়ার মোট দশটি স্কুলের ৪৭ জন পড়ুয়ার ক্ষেত্রে এমন বেনিয়মের অভিযোগ উঠছে। জানা যাচ্ছে, বাঁকুড়ার নিত্যানন্দপুর হাইস্কুলের ২০ জন ও সিমলাপাল মঙ্গলময়ী বালি বিদ্যামন্দিরের ১৭ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকায় এমন বেনিয়ম ধরা পড়েছে। এছাড়াও জগদল্লা গোড়াবাড়ি এমজিএস বিদ্যালয় এবং বিষ্ণুপুর কে এম হাইস্কুলেরও দুজন করে পড়ুয়ার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। একই অভিযোগ অন্য স্কুলিগুলির একজন করে পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও। বিষয়টি জানাজানি হতেই তড়িঘড়ি হস্তক্ষেপ করেছে শিক্ষা দপ্তর। যে অ্যাকাউন্ট গুলিতে ওই টাকা চলে গিয়েছে সেই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে দ্রুত টাকা ফেরানোর জন্য ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। অন্যদিকে শিক্ষা দপ্তরের দাবি যে সমস্ত পোর্টালে ট্যাবের টাকার জন্য আবেদন করা হয়েছে তাতে পড়ুয়াদের নামও অ্যাকাউন্ট নম্বর এন্ট্রি করার ক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে। তাই এই ভুলের জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছে স্কুল শিক্ষার দপ্তর।
+ There are no comments
Add yours