দিদির ধমক খেয়েই শো-কজের জবাব দিলেন ‘বিদ্রোহী’ হুমায়ুন কবীর
শো -কজের জবাব দেওয়া নিয়ে দিদির ধমকানির পরেই জবাব দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এদিন বিধানসভার মধ্যেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হাতে চিঠি তুলে দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের চৌকাঠে হুমায়ুন পা রাখতেই উড়ে আসে প্রশ্ন। ‘দিদি, কেমন আছেন?’ হুমায়ুনের প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘আগে শো-কজের জবাব দাও!’ গত কয়েকদিনের আচরণের জেরে সতীর্থ মহলে হুমায়ুনের নামের সঙ্গে জুড়েছে ‘বিদ্রোহী’ শব্দবন্ধটি।
ঘটনার সূত্রপাত, কসবার গুলি কাণ্ডের পর রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপ মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছিলেন হুমায়ুন। একই সঙ্গে দলের একাংশ নেতার বিরুদ্ধেও প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। হুমায়ুন বলেছিলেন, ‘অন্যায় হলে আমাকে তো বলতেই হবে। আমি কাউকে ভয় ডর করি না।’
এমনকী মমতার ঘনিষ্ঠরা দলনেত্রীর ভাল চান না বলেও প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন তিনি। ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়দের নামোল্লেখ করে হুমায়ুন এও বলেন, ‘প্রভাবশালীরা আমাকে মার্ডার করে ফেলতে পারে। আমি চাই না দলের ক্ষতি হোক। তাই প্রকাশ্যে কিছু কথা বলেছি।’
সোমবার দলের জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠক থেকে তিনটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ অমান্য করলে যে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে সেটাও সোমবারই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। চন্দ্রিমা এও বলেন, এখন থেকে কাউকে তিনবার শোকজ করা হবে। না শুধরালে এরপর সংশ্লিষ্ট নেতাকে দল সাসপেন্ড করবে।
এরপরও মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে দেখা যায় নিজস্ব মেজাজে। দলের একাংশ নেতৃত্বর বিরুদ্ধে মিডিয়ার সামনে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরপরই বুধবার তৃণমূলের বিধানসভা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফে হুমায়ুনকে শো-কজ করা হয়।
+ There are no comments
Add yours