মাত্র আট দিনের অভিযানে গিয়ে দু’মাস ধরে আটকে। আগামী বছরের আগে মহাকাশ থেকে ফেরার সম্ভাবনা নেই। সেই আবহে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়ামসের। মহাকাশে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেন সুনীতা এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। তাঁদের শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করে দেখা হল । দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশে থাকলে এই পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আটকে রয়েছেন সুনিতা এবং ব্যারি। অনির্দিষ্টকালের জন্য আপাতত মহাকাশে আটকে থাকতে হচ্ছে সুনিতা এবং তার সহচরী ব্যারিকে । মহাকাশযানটিতে কিছু গোলযোগ দেখা দেওয়ার জন্যই তাদের পৃথিবীতে আর ফেরা হচ্ছে না।থ্রাস্টার চালু করা নিয়েও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। সুনীতা এবং ব্যারির ফেরা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিলে, নির্দিষ্ট সময়কাল জানানো থেকে বিরত ছিল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের আগে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরা সম্ভব নাও হতে পারে। সুনীতা এবং ব্যারিকে পৃথিবীতে ফেরাতে বিকল্প ভাবনাও চলছে। ইলন মাস্কের স্পেস এক্স সংস্থার সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলেও খবর। আপাতত মহাকাশে গবেষণামূলক কাজে এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন সুনীতা এবং ব্যারি।এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার মারাত্মক প্রভাব দেখা দিতে পারে সুনীতা এবং ব্যারির শরীরে। সেই নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যেও। NASA জানিয়েছে, হাড়ের ক্ষয় রুখতে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা শরীরচর্চা করছেন সুনীতা এবং ব্যারি। নিয়মিত তাঁদের শিরা-ধমনী, ঘাড়-গলা, পা, কাঁধ পরীক্ষা করে দেখছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মোতায়েন চিকিৎসক। ওজন মাপা হচ্ছে রোজ, যাতে পেশির ক্ষয় হলেও বোঝা যায়। দিনে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমাচ্ছেন দু’জনই। পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছেন ইমেল এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে।
নাসা জানিয়েছে, আরও চার মাসের খাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত রয়েছে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সে সুনীতা জানান, তৃতীয় বার অভিযানে গিয়ে মহাকাশের জীবন উপভোগই করছেন তিনি। নিরাপদে পৃথিবীতে ফেরা নিয়েও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন সুনীতার স্বামী মাইকেল উইয়লিয়ামসও। সুনীতাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে বলেন, “নিজের সুখের জায়গায় রয়েছে ও।”