দুর্গাপুজোর পরেই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো, কখন লাগছে পূর্ণিমা তিথি? কিভাবে করবেন ধনদেবীর আরাধনা
মা লক্ষ্মী হলেন ধন- সম্পদের দেবী। ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের জন্য দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলার প্রায় প্রতিটা পরিবার। চলছে উৎসবের মরসুম।বাঙালির সেরা পার্বণ দুর্গা পুজো। আবার এই পুজো শেষ হতে না হতেই শুরু হয় লক্ষ্মী পুজোর তোড়জোড়। আগামীকাল লক্ষ্মীপূজা। আর সেই উপলক্ষে বাজারে বাজারে ভিড় উপচে পড়ছে। ধনদেবীর আরাধনা করতে প্রত্যেক বাঙালি পরিবার তড়জোড় শুরু করে দিয়েছে।
কোজাগরী পূর্ণিমার দিন ঘরে ঘরে পূজিত হন মা লক্ষ্মী। সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির জন্য লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। মা লক্ষ্মী হলেন ধন- সম্পদের দেবী। ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের জন্য দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলার প্রায় প্রতিটা পরিবার।
বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। ‘কোজাগরী’ কথাটির অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ হিন্দু পুরাণ মতে, আশ্বিনের এই পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী এসে ঘরে ঘরে খোঁজ নিয়ে যান, কে জেগে আছে। এই রাতে যে ব্যক্তি জেগে দেবীর আরাধনা করেন, তার ঘরেই প্রবেশ করেন দেবী লক্ষী। জানুন এবছরের কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর নির্ঘণ্ট।
পূর্ণিমা তিথি শুরু
বাংলা ৩০ আশ্বিন, ইংরেজিতে ১৬ অক্টোবর, বুধবার, পূর্ণিমা তিথি শুরু রাত রাত ৭টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে। রাত ৭টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড গতে শ্রীশ্রী কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা।
পূর্ণিমা তিথি শেষ
বাংলা ৩১ আশ্বিন, ইংরেজি ১৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, – সন্ধ্যা ৫টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে পূর্ণিমা তিথি শেষ হচ্ছে। যাঁরা রাতে পুজো করবেন, তাঁরা ১৬ তারিখ রাতেই পুজো করে ফেলবেন। ১৬ তারিখেই হবে রাত্রি জাগরণ। তবে দিনের বেলা পুজো করতে চাইলে ১৭ অক্টোবর পুজো করতে হবে।
শারদ পূর্ণিমার মাহাত্ম্য
শারদ পূর্ণিমা মা লক্ষ্মীর জন্মতিথি হিসেবে পালন করা হয়। এ দিন অনেকে কৌমুদী ব্রতও পালন করেন। মা লক্ষ্মীকে তুষ্ট করে তাঁর আশীর্বাদ লাভের জন্য এ দিন বিশেষ ভাবে উপযুক্ত। কোজাগরী পূর্ণিমায় পায়েস রান্না করে তা সারা রাত চাঁদের আলোয় রেখে, পরের দিন সকাল প্রসাদ হিসেবে এই পায়েস খাওয়া বিশেষ শুভ বলে মনে করা হয়। এর ফলে আপনার মনের সব ইচ্ছে পূরণ হবে এবং আপনার সংসার ধন সম্পদে ভরে উঠবে।