পপকর্নে জিএসটি: সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত ও জনমনে প্রশ্ন
পপকর্নে জিএসটি বসানোর পর, সাধারণ মানুষ ও নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এর উপর যে বিভিন্ন স্তরের কর ধার্য হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ পপকর্নে ৫% জিএসটি, প্যাকেটজাত ‘রেডি টু ইট পপকর্ন’-এ ১২%, এবং ক্যারামেলাইজড পপকর্নে ১৮% জিএসটি ধার্য করা হয়েছে, যা কিছুতেই সাধারণ মানুষের কাছে যুক্তিসঙ্গত মনে হচ্ছে না। এই অতি সাধারণ এবং জনপ্রিয় খাবারের উপর এমন কর বসানোর কারণ নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন ও আলোচনা চলছে।এখানে মূলত দুটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে: ১. **সিনেমা হলের পপকর্ন**: সিনেমা হলগুলিতে প্যাকেটজাত পপকর্ন বিক্রি হয় না, বরং টিকিটের সঙ্গে পপকর্নের প্যাকেজ বিক্রি হয়। এতে বিষয়টি কম্পোজিট সাপ্লাই হয়ে যায়, অর্থাৎ পপকর্নের উপর আলাদা জিএসটি লাগানো না হয়ে, সিনেমা টিকিটের মাধ্যমে সেটি ধার্য করা উচিত। তবে, সরকার পপকর্নের উপর আলাদা আলাদা জিএসটি কিভাবে ধার্য করছে, তা নিয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।২. **সরকারের মনোযোগের প্রশ্ন**: জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমায় সম্প্রতি চড়া কর চালু হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ ও প্রবীণ নাগরিকদের কাছে এ দুটি পণ্য অত্যন্ত জরুরি হলেও, সরকার তার পরিবর্তে পপকর্নের মতো সাধারণ খাবারের উপর কর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এমন একটি সময় এসেছে যখন বিমা শিল্প সংকটে, সেই সময়ে সরকারের পপকর্ন নিয়ে এত মাথাব্যথা?এটি সন্দেহের সৃষ্টি করেছে যে, সরকার যদি জীবনবিমা বা স্বাস্থ্যবিমার উপর কর কমানোর পরিবর্তে পপকর্নের উপর জিএসটি বাড়ায়, তাহলে কি এটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার কৌশল? অতীতে এমন ঘটনার উদাহরণও রয়েছে যেখানে সরকার ছোট ইস্যু নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছে, যাতে বৃহত্তর সমস্যাগুলি আড়ালে চলে যায়।সব মিলিয়ে, সরকারের উচিত ছিল, পপকর্নের মতো বিষয় নিয়ে বেশি সময় ব্যয় না করে, গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ও পরিষেবার উপর জিএসটি কমানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া। এর মাধ্যমে মানুষের দুর্ভোগ কমানো এবং কর ফাঁকি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ করা প্রয়োজন