পরীক্ষার আগেই ‘প্রশ্ন ফাঁস’, দেদার বিলি ‘উত্তরপত্র’! ফার্মাসিস্টের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা ঘিরে আরামবাগে ধুন্ধুমার। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে অভিযুক্তদের আটকে বিক্ষোভ
সরকারি পলিটেকনিকে সিট ফেলেও লাভ হয়নি। উল্টে সেখানেই ঢালাও টুকলির অভিযোগ উঠল ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসির (ডি ফার্ম) প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষায়। শুধু তাই নয়, উঠেছে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগও। হুগলির আরামবাগ, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে পরীক্ষা ঘিরে এদিন উত্তাল হয়েছে কলেজ চত্বর। প্রসঙ্গত, এতদিন হোম সেন্টারে পরীক্ষা হলেও এ বছর বেসরকারি ডি ফার্ম কলেজগুলির পড়ুয়াদের সিট ফেলা হয়েছে সরকারি পলিটেকনিকে। তাতেও অবশ্য টুকলি ঠেকানো যায়নি।
আরামবাগের ভাটার মোড়ে গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজে পরীক্ষা চলছিল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নপত্র মোবাইলে চলে আসছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের থেকে কিছু দূরে আরামবাগ বর্ধমান রাজ্য সড়কের ধারে একটি দোতলা ঘরের আন্ডারগ্রাউন্ড রুমে রীতিমতো প্রিন্টার মেশিন নিয়ে এসে তা থেকে নকল করা হচ্ছিল। যদিও প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে প্রশাসনিকভাবে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
গত কয়েকদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে বিষয়টি। এদিন পরীক্ষা শুরুর আগে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপর অবশ্য সেই ঘরে থাকা ব্যক্তিদের প্রশ্ন করা হলে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে তাঁরা ছুটে পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিস সেখানে পৌঁছয়।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের ঘটনা ঘিরে অবশ্য কলেজ কর্তৃপক্ষ বা কেউ থানায় কোনও অভিযোগ করেননি। হুগলি গ্রামীণের পুলিস সুপার কামনাশিস সেন বলেন, তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে আরামবাগ গভর্নমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ অরূপকুমার রায়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। এসএমএসেরও উত্তর দেননি। আরামবাগের মহকুমা শাসক রবি কুমার বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
পরীক্ষার আগে কিভাবে ফোনে প্রশ্নপত্র চলে আসছে? আর প্রশ্নপত্র গুলি হাতে পেয়েই পরীক্ষার্থীরা টুকতে শুরু করেন। কী করে এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হল বা কলেজের অদূরেই তা কী করে বিলি হচ্ছে সে ব্যাপারে অবশ্য এখনও কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি
+ There are no comments
Add yours