চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় পলিগ্রাফ টেস্ট বলতে কী বোঝায়? এই বিষয়ে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কনো ব্যক্তি যদি কোনও নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে সত্যি কথা গোপন করার চেষ্টা করে তা জানতেই এই বিশেষ পলিগ্রাফ পরীক্ষা। অর্থাৎ অপরাধীকে ধরার জন্য, অথবা দোষীকে চিহ্নিত করার জন্য এই বিশেষ পন্থা। তাই এই টেস্টের সাহায্য নিয়ে থাকে প্রশাসন।
পলিগ্রাফ টেস্ট করার সময়, মূলত যার পরীক্ষা হয় তাঁকে সেই অপরাধ সম্পর্কিত এবং অনান্য বিষয়েও নানা প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় তাঁর হার্টবিট, পালস রেট এবং স্নায়ু চাপ কতটা এগুলি গ্রাফিক্যাল ফরমাটে নিয়ে এসে তারপর তা বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে। অনেকগুলি গ্র্যাফিকাল রেকর্ড তৈরি করে তা বিশেষজ্ঞরা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেন “সেই ব্যক্তি সত্যি বলছে নাকি মিথ্যা কথা বলছে।
পলিগ্রাফ টেস্টের সাফল্যের হার কতটা? কী জানা যাচ্ছে
এই বিষয়ে বিশিষ্ঠ চিকিৎসাবিদদের মতামত, সাধারণত এই টেস্টের রিপোর্টকে প্রমাণ হিসাবে মান্যতা দিলেও সাফল্যের হার ১০০ শতাংশের মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ। এই টসেস্টের রিপোর্ট নিয়ে আইনজীবী মহলের ব্যাখ্যা হল, তাঁদের মতে এই রিপোর্ট আদালতে গ্রাহ্য হয় না। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। অপরদিকে ভারত বা জাপানের মতো দেশের মনোবিদদের মতে এই টেস্টের কোনও বিশ্বাস যোগ্যতা নেই।
পলিগ্রাফ টেস্ট ইচ্ছে মতো যখন তখন করা সম্ভব নয়। এই টেস্টের আগে নির্দিষ্ট কারণ জানিয়ে আদালতের অনুমতি গ্রহণ করতে হয়। আদালতের অনুমতি পাওয়া গেলে, অনুমতি লাগবে যাঁর পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার পূর্বে পরীক্ষার সম্পূর্ণ পদ্ধতিও সেই ব্যক্তিকে জানানো প্রয়োজন। এরপর সেই ব্যক্তির সহমত থাকে তবেই পরীক্ষা করা সম্ভব। আর যদি সেই ব্যক্তি অনুমতি না দেন, তাহলে পুণরায় আদালতের দারস্ত হতে হবে। তখন আদালত যা রায় দেবে তাই হবে।
আইন অনুযায়ী কনো ব্যক্তির পলিগ্রাফ টেস্ট করার সময় শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল উপস্থিত থাকে। আর যাঁর পরীক্ষা করানো হবে তিনি যদি চান, সেক্ষেত্রে আদালতের থেকে অনুমতি নিয়ে তাঁর পরিচিত বা উকিল উপস্থিত থাকতে পারেন। যদিও এখন এই সব পরীক্ষার ভিডিয়োগ্রাফি করে রাখা হয়।