পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি) এর উপর এয়ারস্ট্রাইক করেছে ইসলামাবাদ
পাকিস্তান সাম্প্রতিক সময়ে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে। এই হামলায় বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে এবং বিদ্রোহীদের হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তান সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, এয়ারস্ট্রাইকটি পাক-আফগান সীমান্তের পাকাতিকা প্রদেশের পার্বত্য অঞ্চলে চালানো হয়েছিল। তবে, এই হামলার সময় পাকিস্তানি বিমান আফগানিস্তানের সীমানায় ঢুকেছিল কি না, তা নিশ্চিত করা যায়নি।এই এয়ারস্ট্রাইকে আফগানিস্তান তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, পাকিস্তান নিরীহ মানুষদের উপর হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই ওয়াজিরিস্তান থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থী। আফগান সরকার জানিয়েছে, এই হামলায় অনেক মহিলা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে, এবং একে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং নিষ্ঠুর কার্যক্রম হিসেবে অভিহিত করেছে।**টিটিপি: ইতিহাস এবং বর্তমান পরিস্থিতি**টিটিপি একটি সশস্ত্র জোট, যা ২০০৭ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে গঠিত হয়। তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল উপজাতীয় এলাকা ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পাকিস্তান সরকারের প্রভাব কমানো এবং সেখানে শর্তাধীন শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করা। তারা ইসলামিক খিলাফত প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যেও কাজ করে। শুরুর দিকে আল-কায়দার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল ঘনিষ্ঠ, এবং বর্তমানে টিটিপি প্রধান হিসেবে মুল্লা ফজলুল্লাহ রয়েছেন।পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ২০১৬ সালের পর খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় টিটিপির বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান শুরু করে, কিন্তু তখন থেকে আফগান তালিবানদের সঙ্গে পাকিস্তানি তালিবানদের সম্পর্ক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ২০২২ সালে পাকিস্তানের পাখতুনখোয়া অঞ্চলে ব্যাপক অশান্তি সৃষ্টি হয়, এবং টিটিপি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও তারা পরবর্তীতে বেশ কিছু প্রশাসনিক ও সামরিক কার্যক্রম চালাতে থাকে, যার ফলে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা ২০২২ সালে ৫১ শতাংশ বেড়ে যায়।এছাড়া, ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর, টিটিপি তাদের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহার করে এবং পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কার্যক্রম আরও তীব্র করে তোলে
+ There are no comments
Add yours