পাবলিক সার্ভিসে পুরস্কৃত বাঙালি আইপিএস
আরে না না, এটা কিছু না। ব্যস, ওই হয়ে গেল! — বক্তার নাম কামনাশিস সেন। বর্তমানে হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার। কিন্তু কী ‘হয়ে গেল?’ আইআইএম আমেদাবাদের প্রাক্তনী এই আইপিএস অফিসারকে ‘পাবলিক সার্ভিস’ ক্যাটিগরিতে স্বীকৃতি দিয়েছে খাস আইআইএম আমেদাবাদই!
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের ‘ইয়ং অ্যালামনাই অ্যাচিভার’স অ্যাওয়ার্ড’ তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর সঙ্গে পুরস্কৃত করা হয়েছে আরও ১২ জন প্রাক্তনীকে। যদিও তাঁরা কেউ সরকারি চাকরি করেন না, প্রত্যেকেই কর্পোরেট দুনিয়ার ‘হু’জ় হু!
কামনাশিসের মুকুটে এমন পালক এল কী ভাবে?
আইআইএম আমেদাবাদের ডিরেক্টর ভারত ভাস্কর ‘এই সময়’কে বললেন, ‘এটা আমাদের কাছে গর্ব যে কামনাশিস ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসকে তাঁর পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তিনি সেখানে যে ধরনের উদ্ভাবনী চিন্তার পরিচয় দিয়ে প্রবলেম-সলভিং টেকনিক এনেছেন ও স্থানীয় কমিউনিটিগুলোর কথা ভেবে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন, সে জন্যই এই স্বীকৃতি।’
তাঁর সংযোজন, সরকারি ক্ষেত্রে কী অবদান বা সাফল্য শুধু তা দেখে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় না বরং বৃহত্তর সামাজিক ক্ষেত্রে কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে তার উপরে অনেকাংশে নির্ভর করে।
কামনাশিসকে পুরস্কৃত করার জন্য কী কী দেখে বিবেচনা করা হয়েছিল?
প্রতিষ্ঠানের তরফে যা জানানো হয়েছে তার নির্যাস হলো, আইপিএস অফিসার হিসেবে কামনাশিস সেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন ও সামলাচ্ছেন। মব ভায়োলেন্স থেকে সাম্প্রদায়িক অশান্তি, নির্বাচনের সময়ে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি থেকে মানবপাচারের মোকাবিলা — সবটাই করেছেন দক্ষতার সঙ্গে।
আন্ডার প্রিভিলেজড স্টুডেন্টদের জন্য কমিউনিটি পোলিসিং এর অঙ্গ হিসেবে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার ফ্রি কোচিং শুরু বা স্থানীয় হস্তশিল্পীদের জন্য ‘মাটির টান’ নামে একটি এম্পোরিয়াম তৈরি, পুরোটাই করেছেন পুলিশের কর্তব্যের বাইরে গিয়ে…। ওঁর কর্মদক্ষতা ওঁকে এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ চিফস অফ পুলিশ (IACP)’-এর বিশ্বখ্যাত ‘40 under 40’ সম্মান তিনি পেয়েছেন ২০২২ সালে। ড্রোন মনিটরিং সিস্টেম জায়গা পেয়েছে বিপিআরডি-র ‘ন্যাশনাল পুলিশ মিশন’-এ। সব মিলিয়েই তাঁকে এ বছরের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours