প্যারা অলিম্পিক্সে ব্যাক টু ব্যাক সোনা, জ্যাভলিনে সোনা জিতলেন ভারতের সুমিত
জীবনের আরেক নাম হল লড়াই। লড়াই করতে করতে যাঁরা হয়েও হাল ছাড়ে না, সাফল্য তাঁদের পদচুম্বন করে। আর এই সাফল্য যদি হল অলিম্পিকের গোল্ড মেডেল, তাহলে তো সেই লড়াকু মানুষগুলির কথা জানা দরকার সকলের। প্যারিস অলিম্পিকে নীরজ চোপড়া যা পারেননি, তা এবার করে দেখালেন সুমিত আন্তিল। প্যারা অলিম্পিকে জিতলেন সোনার পদক। একটা সময় দুর্ঘটনায় নিজের স্বপ্নকে হারাতে বসেছিলেন। তবে লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েননি। তাই আজ সোনার ছেলে হয়ে বাড়ি ফিরতে চলেছেন সুমিত।সুমিত আন্তিল’কে প্যারা জ্যাভলিন থ্রো-এর নীরজ চোপড়া বলা হয়। তিনি প্যারিস প্যারালিম্পিকের এফ-৬৪ ইভেন্টে ৭০.৪৯ মিটার জ্যাভলিন ছুঁড়ে একদিকে যেমন রেকর্ড গড়েছেন, তেমনই পেয়েছেন স্বর্ণপদক। প্রথম ভারতীয় হিসেবে সুমিত প্যারালিম্পিকে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সোনা জয়ের রেকর্ড করলেন। কারণ, গতবার টোকিও প্যারালিম্পিকেও সোনা জিতেছেন সুমিত।সুমিত আন্তিল ১৯৮৮ সালের ৭ জুন হরিয়ানার সোনিপাতের খেভরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৭ বছর বয়সে, সুমিত একটি পথ দুর্ঘটনার শিকার হন। সেই দুর্ঘটনায় তিনি তাঁর একটি পা হারান। এই মারাত্মক দুর্ঘটনার পরও খেলাধুলার প্রতি সুমিতের আগ্রহ কমেনি। সুমিত কৃত্রিম পা দিয়ে প্যারা অ্যাথলিট হিসেবে দেশকে বারবার খ্যাতি এনে দিয়েছেন। আর সেই সঙ্গে তিনি এটাও প্রমাণ করেছেন যে স্বপ্ন দেখার সাহস আর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অদম্য জেদ থাকলে, কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।
প্যারিস প্যারালিম্পিকের আগে সুমিত এই বছর প্যারা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ৬৯.৫০ মিটার জ্যাভলিন ছুঁড়ে সোনা জিতেছিলেন। তারও আগে টোকিও অলিম্পিকেও তিনি তিনবার বিশ্ব রেকর্ড গড়েন এবং ৬৮.৫৫ মিটার জ্যাভলিন ছুঁড়ে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। এরপর তিনি ২০২৩ প্যারা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের ৭০.৮৩ মিটার জ্যাভলিন ছোঁড়ার রেকর্ডটি ভেঙে দেন। সুমিত এখানেই থেমে থাকেননি। এরপর হ্যাংজু এশিয়ান প্যারা গেমসে ৭৩.২৯ মিটার থ্রো করে আবার স্বর্ণপদক জিতে নেন।