বাবার সম্পত্তি দাবি করতে পারে মেয়ে ? কী বলছে আইন
আজকাল প্রায়শই দেখা যায় এই সমস্যা। বাবার মৃত্যুর পর ছেলে-মেয়ের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বাঁধে বিবাদ। সেই ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায়, ছেলেদের তুলনায় সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন মেয়েরা। এই পরিস্থিতিতে কী বলছে সম্পত্তি আইন।
সুষ্পষ্ট আইন থাকলেও বাড়ছে সমস্যা
অনেক সময় দেখা যায়, কোনও উইল না লিখেই মারা যান বাড়ির কর্তা। এই অবস্থায় প্রায়ই পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে বাড়ির কর্তা বেঁচে থাকা অবস্থায় উইল করে গলেও তা অনুসরণ করা হয় না, যা শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের দিকে গড়ায়। সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সুস্পষ্ট আইন রয়েছে , যেখানে এটি স্পষ্ট করা হয়েছে, কে কোন সম্পত্তির অধিকারী এবং কে নন। তা সত্ত্বেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছেলের তুলনায় মেয়েরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।
হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, 1956-এর সংশোধনী অনুসারে, 2005 সালে কন্যাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অংশ পাওয়ার আইনি অধিকার দেওয়া হয়েছে। সম্পত্তির উপর অধিকার দাবি করার বিধানের জন্য এই আইনটি 1956 সালে করা হয়েছিল। 2005 সংশোধনীর পরে, কন্যারও পুত্র হিসাবে পিতার সহজাত সম্পত্তিতে (একটি হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি) সমান অধিকার থাকবে। মেয়ে চাইলেই বাবার সম্পত্তিতে অধিকার দাবি করতে পারে।
তবে বাবা জীবিত থাকাকালীন নিজের অর্জিত সম্পত্তি পুত্র বা নাতিদের কাছে হস্তান্তর করলে, কন্যাদের তা দাবি করার অধিকার নেই। যদি বাবা মারা যান ও সম্পত্তি উইলের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়,সেই ক্ষেত্রে কন্যা থাকলে আদালতে সেই উইলকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। কিন্তু উইল না লিখে বাবা মারা গেলে মৃতের সম্পত্তিতে পুত্রদের মতো কন্যারাও সমান অধিকার থাকে।
যদি বাবা উইল না করে মারা যান, তাহলে 1956 সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের অধীনে, সবাই ক্লাস 1 উত্তরাধিকারী (মৃত ব্যক্তির স্ত্রী, সন্তান এবং মা) সম্পত্তিতে সমান অংশ পাবেন।
অন্যদিকে, বাবা যদি নিজের টাকায় জমি, দালানকোঠা বা বাড়ি কিনে থাকেন, তাহলে তিনি যাকে ইচ্ছা এই সম্পত্তি দিতে পারেন। বাবার আইনগত অধিকার তার স্ব-অর্জিত সম্পত্তি নিজের ইচ্ছায় কাউকে দেওয়া। অর্থাৎ বাবা যদি কন্যাকে নিজের সম্পত্তিতে অংশ দিতে না চান, তাহলে মেয়ে সম্পত্তি দাবি করতে পারবে না।
+ There are no comments
Add yours