বাহরাইচে বিভীষিকা,মানুষখেকো নেকড়ের উপদ্রবে ত্রাহি ত্রাহি রব উত্তরপ্রদেশে।আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়
একের পর এক গ্রামে হানা দিচ্ছে এই নেকড়ের দল।গত এক সপ্তাহে নেকড়ের হামলায় মৃত্যু হয়েছে সাত শিশু ও এক মহিলার। সেগুলিকে ধরতে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন শুরু করেছে ‘অপারেশন ভেড়িয়া’। এক বন আধিকারিক জানিয়েছেন, ছয় নেকড়ের মধ্যে ইতিমধ্যেই চারটি নেকড়েকে ফাঁদ পেতে ধরা গিয়েছে।দুই বিশালাকার নেকড়ে নিয়ে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। রাতের বেলা নেকড়ের হানায় দু’বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আরও তিন প্রাপ্তবয়স্ক গুরুতর জখম হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ছে নেকড়েরা। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর। যে কোনও মুহূর্তে লোকালয়ে প্রবেশ করে তারা ফের শিশুদের উপর হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন আধিকারিকরা নেকড়েগুলিকে ধরার জন্য নানা ফন্দি এঁটেছেন। শিশুদের মূত্রে চুবিয়ে একাধিক খেলনা টোপ হিসেবে ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে নেকড়েদের বিচরণক্ষেত্রে। ডিভিশনাল বন আধিকারিক অজিত প্রতাপ সিং সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘এই নেকড়েগুলি মূলত শিশুদেরই টার্গেট করেছে। নানা রংয়ের পোশাক পরা খেলনা আমরা শিশুদের মূত্রে চুবিয়ে ঝুলিয়ে রাখছি। যাতে ওরা মানুষ ভেবে এই ট্র্যাপে পা দেয়।’ এ ছাড়াও ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে তল্লাশি চলছে জঙ্গলে। নেকড়ে তাড়াতে ফাটানো হচ্ছে পটকাও।
বর্তমানে চারটি নেকড়ে ধরা পড়লেও দুটি নেকড়ে এখনো ধরা যায়নি ওই ওই মানুষ খেকো নেকড়ে দুটিকে ধরার জন্য সেন্ট্রাল জোনের চিফ ফরেস্ট কনজারভেটের রেনু সিং -এর নেতৃত্বে হরবক্স পুরওয়া গ্রামে অভিযানে নামে। রেনু সিং জানান, ঐ নরখাদক নেকড়ে দুটিকের ধরার বনবিভাগ ৬টি টিম বানিয়েছে যার তীব্র তিনটি ভাগ কাজ করছে এবং একটি টাইম 9 জন শার্পশুটার সহ মোট 165 জন অফিসার মজুত হয়েছে।