প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়। সিকিমের পর্যটন ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসের জন্য গত এক মাস ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ ছিল। গত বুধবার তা শুধুমাত্র ছোট গাড়ির জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় সড়কের বিকল্প রুট হিসেবে আলগাড়-লাভা হয়েই ঘুরপথে সিকিম যাতায়াত করা যেত। কিন্তু, সিকিমগামী সেই বিকল্প রাস্তার হালও লাগাতার বৃষ্টিতে বেহাল। যানচলাচলের জন্য কালিম্পং প্রশাসনের তরফে দেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা।
গোরুবাথান থেকে লাভা হয়ে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। রাবি ঝোরা থেকে তিস্তা বাজার যাওয়ার জন্য এসএইচ ১২-এ সমস্ত ধরনের যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত।
শ্বেতিঝোরা থেকে চিত্রে যাওয়ার রাস্তা অর্থাৎ ন্যাশনাল হাইওয়ে ১০-এ ভারী যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। হালকা মোটগাড়ি (বেসরকারি, আফিসিয়াল এবং জরুরি ভিত্তিক গাড়িগুলি) চিত্রে থেকে শ্বেতিঝোরা পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। বাস , ভারী গাড়ি (৮ টন পর্যন্ত) পেডং-আলগারাহ- লাভা-গোরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যেতে পারবে। উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গেও ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী পাঁচদিন উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এখনই বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বঙ্গবাসী। আর দুর্যোগে বিপর্যস্ত পাহাড়ও। বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।