ভয়াবহ দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি, ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন মুণ্ড, দেরাদুনে মৃত্যু ৬ পড়ুয়ার
উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে শিউরে ওঠার মতো পথ দুর্ঘটনা। নৈশপার্টি থেকে ফেরার পথে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি সদ্য কেনা একটি SUV-র। সংঘর্ষের তীব্রতায় গাড়িটি কার্যত দুমড়ে-মুচড়ে যায়। উড়ে যায় তার চাল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছয় জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কয়েক জন তরুণীও। সকলেই কলেজ পড়ুয়া। তাঁরা গাড়িতেও মদ্যপান করছিলেন বলে অভিযোগ পুলিশের।
ঘটনাটি ঘটে গত ১২ নভেম্বর রাত দেড়টা নাগাদ দেরাদুনের ওএনজিসি চকে। সাত বন্ধুর একটি দল পার্টি শেষে মত্ত অবস্থায় একটি টয়োটা ইনোভা গাড়িতে ফিরছিলেন বলে অভিযোগ। চালকের আসনে থাকা ব্যক্তিও আকণ্ঠ মদ্যপান করেছিলেন দাবি পুলিশের। জানা গিয়েছে, বেপরোয়া গতির গাড়িটি একটি BMW-র সঙ্গে রেষারেষি করছিল। তার পর সেটি সামনে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িতে দলাপাকানো অবস্থায় আটকে ছিলেন দুই মৃত আরোহী। পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার তীব্রতায় এক আরোহীর ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা হয়ে যায়। রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে দেহাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে দুর্ঘটনার মুহূর্তের ভিডিয়ো। যে ভাবে গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়, তা দেখে শিউরে ওঠেন নেটিজ়েনরা। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময় অনলাইন’। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নেশার ঘোরে বেসামাল অবস্থায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালকের আসনে থাকা যুবক। এর জেরেই ঘটে থাকতে পারে ভয়ানক এই দুর্ঘটনা। তবে কেন এখনও কারও পরিবারের তরফেই FIR দায়ের করা হলো না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন কুণাল কুকরেজা (২৩), অতুল আগরওয়াল (২৪), ঋষভ জৈন (২৪), নব্যা গোয়েল (২৩), কামাকাশি (২০) এবং গুনীত (১৯)। ওই দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত ২৫ বছরের সিদ্ধেশ্বর আগরওয়াল। তাঁর জন্মদিনের পার্টি থেকেই ফিরছিলেন সকলে। যদিও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। দুর্ঘটনার পরই গুরুতর জখম সিদ্ধেশ্বর তাঁর আইফোন থেকে স্থানীয় পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ‘SOS’ বার্তা পাঠায়। কোথা থেকে তাঁরা পার্টি করে ফিরছিলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সিদ্ধেশ্বরের বাবা বিপিন আগরওয়াল মিডিয়াকে ভুয়ো খবর না রটানোর অনুরোধ করেছেন।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি এই ঘটনার খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘দেরাদুনের পথ দুর্ঘটনায় ছয় জনের মৃত্যুর খবরে আমি শোকাহত। তাঁদের প্রত্যেকের আত্মার শান্তি কামনা করি। পরিবারের সকলের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।
+ There are no comments
Add yours