ভাসছে বিহার, রেলট্র্যাকেও জল, বিঘ্নিত ট্রেন চলাচল
কোশি নদীর উপর বীরপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হয়েছে জল, আর তাতেই ভাসছে উত্তর এবং মধ্য বিহার। ডুবেছে রেললাইনও। অধিকাংশ বাড়িতে ঢুকেছে জল। চাষের খেত জলের তলায়। বীরপুর ব্যারাজ থেকে আচমকা জল ছাড়ার ফলেই এই অবস্থা। বিহার প্রশাসন জানিয়েছে, কোশি নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ১৬ লক্ষ মানুষ। রেললাইনে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় ট্রেন চলাচলও বিঘ্নিত হয়েছে।নেপাল থেকে প্রায় ৫.৪০ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার কারণেই বিহারের এই বন্যা পরিস্থিতি। ভাসছে আরারিয়া, সুপৌল, কাটিহারের মতো নিচু এলাকা। বিহারের প্রায় ১৩টি জেলা এখন জলের তলায়। এর মধ্যেই আবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। ফলে স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।রবিবার সীতামারিতে বাগমতি নদীর ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে মধকৌল গ্রামের একটি অংশ। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিহারের জলসম্পদমন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধরি বলেন, ‘আমাদের দপ্তরের সব টিমকে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে মোতায়েন রাখা হয়েছে। কোনও ধরনের ভাঙনের খবর পেলেই যাতে তাঁরা তৎপর হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন।