মণিপুরের নদী থেকে উদ্ধার শিশুর দু’চোখের মণিই নেই! বাকি লাশগুলিতে কোপানোর চিহ্ন
ফের হিংসার লাগাম ছাড়িয়েছে মণিপুরে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে আবার পরপর অশান্তির ঘটনা। শুধু তাই নয়, নারকীয় হত্যাকাণ্ডও হয়েছে। সম্প্রতি জিরিবামের নদী থেকে একাধিক লাশ উদ্ধার হয়েছিল। তাদের ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে তা ভয়াবহ।
একই পরিবারের ৬ জনের দেহ ভেসে এসেছিল ওই নদীতে। তাদের অটোপসি রিপোর্ট বলছে, ১০ মাস বয়সি এক শিশুর দুই চোখের মণি নেই! অন্য এক আট বছরের শিশুর শরীরে আবার অন্তত ৫-৬টি গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তাছাড়া উদ্ধার হওয়া লাশগুলির প্রত্যেকটিতেই ধারাল কিছু অস্ত্র নিয়ে কোপানোর চিহ্ন আছে। এছাড়াও রয়েছে গুলির ক্ষতচিহ্ন। কারও মাথায় তো কারও যৌনাঙ্গে গুলি করা হয়েছে।
গত ১১ নভেম্বর জিরিবামে অসম সীমানা লাগোয়া অঞ্চল থেকে অপহরণ করা হয় ওই ছ’জনকে। কুকি জঙ্গিগোষ্ঠীর দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। নদীতে দেহ উদ্ধারের পরপরই মণিপুরের ইম্ফল সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন মেইতেই জনগোষ্ঠীর সদস্যরা। মেইতেইদের ধারণা, নদী থেকে উদ্ধার হওয়া ওই ছ’টি দেহ জিরিবাম থেকে অপহৃত তিন মহিলা এবং তিন শিশুর। অন্যদিকে একটি অংশের দাবি, নদীতে আরও কিছু দেহ ভেসে আসতে দেখেছিল তাঁরা।
যে হারে মণিপুরে আতঙ্ক বেড়েছে তার জন্য কয়েকদিন আগে ৫ হাজার আধা সেনা রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পরে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সেনা পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নিরাপত্তা অধিকর্তা জানিয়েছেন, ১০ হাজার ৮০০ সেনা জওয়ান বা ৯০ কোম্পানি জওয়ান মণিপুরে মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে মোট ২৮৮ কোম্পানি সেনা রয়েছে বর্তমানে
+ There are no comments
Add yours