মধ্যমগ্রামে সিভিল সার্ভিস প্রশিক্ষণের কেন্দ্র, শিলান্যাস সাংসদের
আইএএস, আইপিএস থেকে ডব্লিউবিসিএস র্যাঙ্কের প্রশাসক হওয়ার প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এক প্রশিক্ষণকেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। শুধু তাই নয় হাতের কাজের প্রশিক্ষণকেন্দ্রও গড়ে উঠবে তাঁর সংসদীয় এলাকায়।
আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে দু’টি প্রশিক্ষণকেন্দ্র শুরু হবে বলে তিনি জানান। সোমবার মধ্যমগ্রাম পুরসভার ব্যানার্জিপাড়ায় এই দুই কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কাকলি। এর জন্য সাংসদ তহবিল থেকে খরচ হবে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। এই দুই কেন্দ্র থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা।
অনেকেই সিভিল সার্ভিসের প্রবেশিকা পরীক্ষা দেন। কিন্তু যোগ্য প্রশিক্ষণের অভাবে তাঁদের অনেকেরই স্বপ্ন পূরণ হয় না। টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারেন না বহু পড়ুয়া। তাঁদের কথা ভেবেই সাংসদ এই প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত নেন।
এ রাজ্যের ছেলেমেয়েদের দক্ষ প্রশাসক হয়ে ওঠার সুবিধার জন্য সল্টলেকে সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর নামাঙ্কিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বারাসত সংসদীয় এলাকা থেকে সল্টলেকের দূরত্ব অনেকটাই। এ দিন বাংলা উৎকর্ষ কেন্দ্রের মাধ্যমে হাতের কাজের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগও নেন কাকলি।মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানার্জিপাড়ায় রয়েছে পাঁচ কাঠা জমি। সেই জায়গা পুরসভারই। সেই জমিতে এ দিন এই দুই কেন্দ্র তৈরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাংসদ। এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান প্রকাশ রাহা–সহ অন্য কাউন্সিলাররা।
কাকলি বলেন, ‘আইএএস, আইপিএস এবং ডব্লিউবিসিএসের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি বাড়িতে বসে বই পড়ে হয় না। এর জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। অনেক ক্ষেত্রে মেধা থাকলেও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বহু ছাত্রছাত্রীর প্রশাসক হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে এই ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি জানান, হাতের কাজের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও এখানে থাকবে। এই কেন্দ্র থেকে টিভি, মোবাইল, গাড়ি সারাই করার প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা।
+ There are no comments
Add yours