মালাইকার বাবা অনিল মেহতার রহস্য মৃত্যু, চাঞ্চল্যকর সব রিপোর্ট
#AnilMehtaMystery
#MalaikaAroraFamily
#AnilMehtaDeath
#MysteriousDeath
#AnilMehtaInvestigation
#BreakingNews
#CelebrityNews
#ShockingDeath
#PostmortemReport
#familytragedy#asianews
১১ সেপ্টেম্বর, বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার সৎ বাবা অনিল কূলদীপ মেহতা, এমনই মনে করা হচ্ছে প্রাথমিক তদন্তে।
মালাইকার বাবা অনিল মেহতার রহস্যজনক মৃত্যুর একদিন পরেই এসেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সূত্রের খবর, রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ‘শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন’ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার সকালে মালাইকা অরোরার বাবা অনিল মেহতার ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। সূত্রের খবর, মালাইকার মা পুলিশকে জানিয়েছেন, অনিল নিয়মিত বারান্দায় বসে ওই সময়ে খবরের কাগজ পড়তেন। বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও গত কয়েক বছর ধরে তাঁরা আবারও একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
৬৫ বছর বয়সী অনিল, ৭ তলার ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগে তাঁর দুই মেয়ে মালাইকা ও অমৃতাকে ফোন করেন। তাঁদের ফোনে তিনি বলেন যে ‘আমি ক্লান্ত’। এরপরেই তিনি ঝাঁপ দিয়েছেন বলে অনুমান।
অভিনেত্রীর মা পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, বুধবার সকালে যখন তিনি বসার ঘরে তাঁর স্বামীর চটি দেখতে পান, তখন তিনি বারান্দায় খুঁজতে যান। সেখানে তাঁকে দেখতে না পাওয়ায় তখন তিনি ঝুঁকে নীচের দিকে দেখতে থাকেন। বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী সেই সময় চিৎকার করছিলেন। জয়েস পুলিশকে আরও জানান, অনিল মেহতা দীর্ঘদিন ধরে একেবারেই অসুস্থ ছিলেন না। তাঁর শুধুমাত্র হাঁটুর ব্যথা ছিল। তিনি মার্চেন্ট নেভি থেকে ভিআরএস নিয়েছিলেন।
বুধবার রাতে মালাইকা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন এবং এই কঠিন সময়ে মিডিয়া এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে খানিক গোপনীয়তা চেয়েছেন। ‘আমাদের প্রিয় বাবা অনিল মেহতার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি একজন বড় মনের মানুষ। একজন নিবেদিত প্রাণ দাদু। একজন অনবদ্য স্বামী এবং আমাদের সকলের সেরা বন্ধু ছিলেন। আমাদের পরিবারে এই ক্ষতির জন্য গভীরভাবে শোকাহত।’অন্যদিকে, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা গিয়েছে অনিল মেহতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সাততলা থেকে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। এর থেকে বেশি তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। বুধবার রাত ৮টায় অনিল মেহতার পোস্টমর্টেম করা হয়। প্রয়াত অনিল মেহতার ফোনে ডিটেইলিং দেখে মনে করা হচ্ছে যে সত্যিই অমৃতাকে ফোন করা হয়েছিল। অমৃতা অনিলের খুব কাছের এবং প্রিয় ছিলেন। এ বিষয়ে আরো অনেক কিছুই জানার আছে সেই বিষয় গুলি সামনে আনতে তদন্ত চলছে।