মিড ডে মিল প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি: নামমাত্র বৃদ্ধি নিয়ে উঠছে সমালোচনা
মিড ডে মিল প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে *‘পি.এম. পোষণ’* রাখলেও কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধিতে দীর্ঘদিন সাড়া দেয়নি। অবশেষে প্রায় দু’বছর পর, *প্রাথমিকে মাত্র ৭৪ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১ টাকা ১২ পয়সা বরাদ্দ বৃদ্ধির* ঘোষণা করেছে। বর্তমানের উচ্চ মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই সামান্য বৃদ্ধি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
*বর্তমান বরাদ্দ এবং মূল্যবৃদ্ধি*
– ২০২২ সালের ১ অক্টোবর, প্রতি ছাত্রের জন্য প্রাথমিকে বরাদ্দ ছিল *৫.৪৫ টাকা, যা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে হবে **৬.১৯ টাকা*।
– উচ্চ প্রাথমিকে এটি *৮.১৭ টাকা* থেকে বাড়িয়ে *৯.২৯ টাকা* করা হয়েছে।
খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি যেখানে বর্তমানে *১১ শতাংশ* ছুঁয়েছে, সেখানে এই সামান্য বরাদ্দ বৃদ্ধি প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
*চ্যালেঞ্জ স্কুলগুলির সামনে*
মূল্যবৃদ্ধির বাজারে ডাল, সবজি, মাছ, ডিম এবং ভোজ্য তেলের ক্রমবর্ধমান খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে স্কুলগুলি।
– *কিচেন গার্ডেন:* বহু স্কুল সবজি চাষ করে খরচ কমানোর চেষ্টা করলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক বাগান নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
– *বাজারের উপর নির্ভরতা:* বিশেষত শহরের স্কুলগুলির ক্ষেত্রে কিচেন গার্ডেনের বিকল্প না থাকায় বাজারের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে হচ্ছে।
*রাজ্য সরকারের ভূমিকা*
পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাঁধুনি এবং সহায়কদের জন্য *বাড়তি ৫০০ টাকা ভাতা* দেয়, যা কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ঘাটতি পূরণের একটি প্রচেষ্টা।
*সমালোচনা ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া*
– বিজেপি শিক্ষা সেলের নেতা পিন্টু পাড়ুই মন্তব্য করেছেন, বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিত ছিল, তবে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করে।
– শিক্ষক নেতারা, যেমন আনন্দ হাণ্ডা ও চন্দন মাইতি, এই সামান্য বৃদ্ধি নিয়ে *তীব্র অসন্তোষ* প্রকাশ করেছেন।
– বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যের উচ্চমূল্যের এই সময়ে এই বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রান্তিক ছাত্রদের পুষ্টি সুনিশ্চিত করতে যথেষ্ট নয়।
*উপসংহার*
‘পি.এম. পোষণ’ নামকরণ প্রকল্পের একটি নতুন পরিচিতি আনলেও, সামান্য বরাদ্দ বৃদ্ধি এর মূল উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করছে। পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে বরাদ্দ যথেষ্ট বাড়ানোর দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
+ There are no comments
Add yours