শিলিগুড়িতে আজ থেকে বন্ধ দুদিন জল পরিষেবা। বিকল্প ব্যবস্থা পুরনিগমের।
শহরে দুদিন বন্ধ থাকবে পানীয় জল পরিষেবা। দুদিন পানীয় জলের ঘাটতি মেটাতে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলের ট্যাঙ্ক, জলের পাউচ পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগম।
কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় ইনটেক ওয়েলের উদ্বোধন করা হয়।ইনটেক ওয়েল চালু করার জন্য শুক্রবার ও শনিবার পানীয় জল পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুইদিন শহরে পানীয় জলের অভাব থাকবে। সেই অভাব মেটাতেই শহরের সমস্ত ওয়ার্ডে ২৬ টি ট্যাঙ্কের মাধ্যমে জল পাঠানো হবে। প্রায় ৩ লক্ষ জলের পাউচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সাহায্য নিয়ে জল পাঠানো হবে বলে জানান মেয়র।
পুরসভা সূত্রে খবর, ইনটেক ওয়েলের সংস্কার ও বিকল্প ইনটেক ওয়েলের কাজের জন্য দু’দিন পুরসভার পানীয় জলের পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে। এত দিন একটি ইনটেক ওয়েল থাকায় মাঝেমধ্যে তাতে পলি জমলেই পানীয় জলের পরিষেবা ব্যাহত হত। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ছ’কোটি ৯০ লক্ষ টাকা খরচ করে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়িতে নতুন ইনটেক ওয়েল তৈরি করেছে পুরসভা। সম্প্রতি পাহাড় সফরে এসে সেই ইনটেক ওয়েল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই সংযোগের কাজ শুরু হবে।
তবে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা। তারা জানিয়েছে, ২৬টি জলের ট্যাঙ্ক, ৩৫ পিভিসি ট্যাঙ্কে করে জল সরবরাহ করা হবে পুর এলাকায়। প্রায় তিন লক্ষ জলের পাউচেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাহায্যের জন্য বলা হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে। তাদের থেকেও পাঁচটি পাঁচ হাজার লিটারের ট্যাঙ্ক নেওয়া হবে।
মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘একটি ইনটেক ওয়েল থাকায় জলকষ্টে ভুগতে হয়েছে বাসিন্দাদের। এ বার এই ইনটেক ওয়েল চালু হলে জলের সমস্যা হবে না। কারণ বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি হয়ে গেল। আমরা দু’দিনের জন্য পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা করেছি। তার পরেও আমরা বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই অসুবিধার জন্য। তবে আমরা চেষ্টা করব যাতে দু’দিনের আগেই কাজ শেষ করা যায়।