শিলিগুড়িতে ফের সড়ক দুর্ঘটনায় চিতাবাঘের মৃত্যু, বন্যপ্রাণ সুরক্ষায় প্রশ্ন উঠছে*
বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ির ঘোষপুকুর ফুলবাড়ি এলাকার ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে এক পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ চলন্ত গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়। চিতাবাঘটি জাতীয় সড়ক পারাপারের সময় রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে করতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।
ঘটনাস্থল ও উদ্ধার কার্যক্রম:
– দুর্ঘটনাটি ঘটে ঘোষপুকুর-বাকুলাইন এলাকায়।
– প্রথমে স্থানীয় এক সবজি বিক্রেতা চিতাবাঘটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে পুলিশ ও বনদপ্তরকে খবর দেন।
– বনকর্মীরা বাঘটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।
– মৃত চিতাবাঘটিকে ময়নাতদন্তের জন্য শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বনদপ্তরের প্রতিক্রিয়া:
– প্রাথমিকভাবে অনুমান, চলন্ত গাড়ির ধাক্কাতেই চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়েছে।
– ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
– বন্যপ্রাণীর ঘনঘন এমন দুর্ঘটনায় বনদপ্তরের আধিকারিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
পটভূমি:
– গতবছর আগস্ট মাসেও একই ধরনের দুর্ঘটনায় একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছিল।
– জাতীয় সড়কের আশপাশে বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তা রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে।
করণীয়:
1. *বন্যপ্রাণী করিডর তৈরি*: জাতীয় সড়কের আশপাশে বন্যপ্রাণীদের চলাচলের জন্য করিডর বা আন্ডারপাস নির্মাণ করা।
2. *গতিসীমা নির্ধারণ*: বনাঞ্চলের কাছাকাছি সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ আরোপ।
3. *সচেতনতা বৃদ্ধি*: চালকদের মধ্যে বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো।
এ ধরনের দুর্ঘটনা শুধু পরিবেশের ভারসাম্যের উপর প্রভাব ফেলে না, বরং বন্যপ্রাণ সুরক্ষার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার অভাবকেও তুলে ধরে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আরও অনেক বন্যপ্রাণী একই পরিণতির শিকার হতে পারে
+ There are no comments
Add yours