সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারকে এলোপাথাড়ি ছুরি রোগীর ছেলের, প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতির ডাক
সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসককে এলোপাথাড়ি ছুরি মেরে গুরুতর জখম করার অভিযোগ ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলার ছেলের বিরুদ্ধে। বুধবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন বালাজি জগন্নাথন নামে ওই চিকিৎসক। তাঁর গলায়, কান, পিঠ, পেট, কপালে সাতবার ছুরি চালানো হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে। এই ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তামিলনাড়ুর চিকিৎসকরা।
জানা যাচ্ছে, ধৃত ভিগনেশ চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। তাঁর মা ক্যানসারে আক্রান্ত এবং চেন্নাইয়ের কলাইগনার সেন্টেনারি সরকারি হাসপাতালে বহুদিন ধরে ভর্তি ছিলেন। তাঁর মায়ের একাধিকবার কেমোথেরাপি হয়। সেখানেই কর্মরত চিকিৎসক বালাজি। মহিলার ছেলের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণে তাঁর মায়ের জটিলতা বাড়ছিল। এ দিনের ঘটনাটি ঘটে হাসপাতালের ক্যানসার ওয়ার্ডেই। ওয়ার্ডে রোগীদের পরীক্ষা করছিলেন চিকিৎসক বালাজি। সে সময়ে আচমকাই তাঁর উপর চড়াও হন ভিগনেশ। এলোপাথাড়ি ওই ডাক্তারকে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন তিনি। হামলার পর হাসপাতাল থেকে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করলেও স্টাফেরা তাঁকে পাকড়াও করে ফেলেন। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঘটনায় হতচকিত হয়ে গিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। আহত চিকিৎসকের পর্যাপ্ত চিকিৎসার বন্দোবস্ত এবং গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কলাইগনার সেন্টেনারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক বালাজির উপর হামলার খবরে আমি হতবাক। একজন রোগীর পরিবারের সদস্য তাঁরে সাত বার ছুরিকাঘাত করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন বালাজিকে এমনভাবে আঘাত করা হলো, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘিরে গত কয়েক মাস ধরেই তোলপাড় দেশ। কর্মস্থলে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন চলেছে। এমনকী, কর্মবিরতিও করেছেন ডাক্তাররা। এই আবহে রোগী পরিবারের তরফে একজন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের উপর নৃশংস হামলার ঘটনায় ফের একবার আতঙ্ক ছড়িয়েছে
+ There are no comments
Add yours