সালমান হত্যার পরিকল্পনা! কত টাকা খরচ করা হয়েছিল?
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ‘বিগ বস ১৮’-এর শুটিং শুরু করছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। ‘বিগ বস’-এর ‘উইকেন্ড কা বার’-এর শুটিং করবেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, ভাইজান ‘সিকান্দার’ ছবির সেটেও খুব শিগগিরই ফিরতে চলেছেন। এদিকে মুম্বাই পুলিশ সালমানের ওপর হামলার জট ক্রমে খুলতে চলেছে। রুপালি পর্দার মতো বাস্তব জীবনেও যেন অকুতোভয় সালমান। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল বারবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার পরও থামিয়ে রাখা যায়নি ভাইজানকে। নিজেকে চারদেওয়ালে বন্দী না রেখে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। এনসিপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা করার পরও দমিয়ে রাখা যায়নি সালমানকে। বাবা সিদ্দিকের মতো কাছের বন্ধুকে হারানো তাঁর জন্য যে বড় ধাক্কা, তা সবারই জানা। কিন্তু তিনি বাসায় বসে না থেকে কর্মজীবনে ফিরতে চলেছেন। আজ থেকে সালমান ‘বিগ বস ১৮’-এর শুটিং শুরু করছেন। কালারস চ্যানেলের জনপ্রিয় এই রিয়েলিটি শোর সঞ্চালক তিনি। ‘বিগ বস’-এর মূল আকর্ষণ যে সালমান খান, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা গেছে, ভাইজানকে সুরক্ষিত করতে ‘বিগ বস’-এর সেটের আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা কড়া হয়েছে।
এই রিয়েলিটি শোর সেটে নিরাপত্তাব্যবস্থা এতটাই কড়া যে বিনা অনুমতিতে একটি মাছি পর্যন্ত গলতে পারবে না। সেটের বাইরেও কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে যাঁরা যাঁরা উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের বিষয়ে বিশদ তথ্য নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সালমানের বাসার বাইরে গুলিবর্ষণকারী আততায়ীদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের সুখা নামের এক ব্যক্তি এখন পুলিশি হেফাজতে আছে। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই জেলে বসে এই হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। মুম্বাই পুলিশ চার্জশিটে বলেছে যে পানভেলে নিজের ফার্ম হাউসের কাছে সালমানকে মারার জন্য ৩০ লাখ টাকার প্রাথমিক বাজেট দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ এই চার্জশিটে পাঁচজন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেছে। পুলিশ জেরার মুখে জানতে পেরেছে, আততায়ীরা পাকিস্তান থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র একে ৪৭, একে ৯২ এবং এম ১৬ কেনার পরিকল্পনা করেছিল।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সালমানকে হত্যার জন্য ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোরদের কাজে নিযুক্ত করেছিল। তারা সবাই পুনে, থানে, রায়গড়, গুজরাট ও নাভি মুম্বাইয়ে লুকিয়ে আছে। ৬০ থেকে ৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল শুধু সালমানের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে। তারা বিশেষ করে নজর রাখত ভাইজানের বান্দ্রার বাসা, পানভিলের ফার্ম হাউস ও গোরেগাঁও ফিল্ম সিটিতে। চার্জশিটে উল্লেখ আছে, সালমানকে হত্যার ছক কষা হয়েছিল ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে।
পুলিশ তদন্তে এ–ও জানতে পেরেছে, সব শুটার কানাডায় বসবাসকারী গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার ও লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোইয়ের সবুজসংকেতের অপেক্ষায় ছিল। চার্জশিটে বলা হয়েছে যে সব শুটারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সালমানকে গুলি করার পর কন্যাকুমারীতে একত্র হতে। এরপর তাদের বলা হয়েছিল নৌকা করে শ্রীলঙ্কায় যেতে। এরপর শুটারদের এমন এক দেশে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যেখানে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো পৌঁছাতে পারবে না।