সুগার-প্রেশার-কোলেস্টেরল-বদহজম-অম্বল পালাবে , টগবগিয়ে ফুটবে যৌবন… বীজ থেকে শাক, সবটাই ম্যাজিক
মুড়ি-মুড়কির মতো রোজ ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া উপায়ে যদি রোগ সারানো যায় এর চেয়ে ভালো কিছু হয় না। এমনই একটি ঘরোয়া টোটকা হলো মেথি ভেজানো জল অথবা ভিজিয়ে রাখা মেথি। নিয়মিত এক কাপ মেথি ভেজানো জল খেলে নানা রকম রোগের হাতছানি থেকে দূরে থাকা যায়। জেনে নেওয়া যাক সে গুলি কী।
অ্যাসিডিটি, গ্যাস, অম্বল এর সমস্যায় যারা ভোগেন প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খান। এক চা চামচ মেথি এর জন্য উপযুক্ত।
মেথি বলতে আমরা মশলাকেই বুঝি (গাছের বীজ)। তবে হার্ব (শুকনো পাতা) বা স্যালাডের সবজি (সতেজ পাতা, অঙ্কুরিত বীজ) হিসেবেও মেথির ব্যবহার আছে। পাঁচফোড়নের অন্যতম উপাদান মেথি স্বাদে একটু তিতকুটে। ভেজে নিলে তিতো ভাবটা চলে যায়। মেথিতে কী নেই—ভিটামিন কে, থায়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন এ, বি ৬। খনিজের মধ্যে আছে কপার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেশিয়াম।
ডায়াবেটিস রুখতে দারুন কাজ করে, শুধু ডায়াবেটিস নয় মেথি মহৌষধ হিসেবে দুর্দান্ত কাজ করে।মেথির রসে সাপোনিস ও ডায়োজেনিন নামে যৌগ পদার্থ আছে। মানুষের শরীরে হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। প্রতিদিন পরিমিত মেথির রস খেলে পুরুষের যৌনক্ষমতা বাড়ে।কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে-মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খেলে কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।ওজন কমাতে সাহায্য করে- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, মেথি (Methi) ভেজানো জল খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ফাইবারে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিদে কমে যায়। অতিরিক্ত মাত্রায় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমলেই ওজন কমতে শুরু করে।
চুলের সমস্যার সমাধান-মেথি বেঁটে চুলে লাগালে চুল পড়া কমায়, চুল ঘন হয়। খুসকি কমায়, চুল হয় আরও উজ্জ্বল।