স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে জালিয়াতি ঠেকাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও জিও-ট্যাগিং: রাজ্যের নতুন উদ্যোগ*
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প *স্বাস্থ্যসাথী* নিয়ে জালিয়াতির একাধিক অভিযোগ ওঠার পর, এবার রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে। রোগী পরিষেবায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং ভুয়ো বিলিং বন্ধ করতে স্বাস্থ্য দপ্তর *কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)* এবং *জিও-ট্যাগিং* প্রযুক্তি যুক্ত করার ঘোষণা করেছে।
*কীভাবে কাজ করবে এই নতুন প্রযুক্তি?*
1. *জিও-ট্যাগিং:*
– রোগীর চিকিৎসা শুরু এবং শেষ হওয়ার সময় সংক্রান্ত তথ্য জিও-ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে *স্বাস্থ্যসাথী মোবাইল অ্যাপে* আপলোড হবে।
– এই তথ্যগুলো সরাসরি রাজ্য সরকারের সার্ভারে জমা হবে।
– রোগীর উপস্থিতি যাচাই করতে হাসপাতাল থেকে জিপিএস ডেটা আপলোড করতে হবে।
2. *কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI):*
– রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য এবং বেসরকারি হাসপাতালের দাবি করা বিল AI-এর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হবে।
– ভুয়ো বা অতিরিক্ত বিল চিহ্নিত করার জন্য AI ডেটার সত্যতা যাচাই করবে।
3. *চিকিৎসার ধাপের পর্যবেক্ষণ:*
– রোগী হাসপাতালে উপস্থিত কিনা তা নিশ্চিত করতে ছবি এবং ভিডিও আপলোড করতে হবে।
– একবার আপলোড করা তথ্য বা ভিডিও *এডিট করা যাবে না।*
4. *গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা:*
– বেসরকারি নার্সিংহোম ও হাসপাতালগুলিকে প্রতিটি ধাপে রোগীর উপস্থিতি প্রমাণ করতে হবে।
– যদি কোনও জালিয়াতি ধরা পড়ে, সরকার কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
*কেন এই পদক্ষেপ?*
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে ভুয়ো বিলিংয়ের অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জালিয়াতি রুখতে এবং প্রকল্পের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে এই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
*স্বাস্থ্য দপ্তরের আশা:*
এই পদক্ষেপের ফলে রোগীদের পরিষেবার মান উন্নত হবে, এবং হাসপাতালগুলির সঙ্গে সরকারের আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আসবে। *স্বাস্থ্যসাথী কার্ড* ব্যবহার করে ভবিষ্যতে আর কোনও প্রকার দুর্নীতি হবে না বলে আশা করছে রাজ্য প্রশাসন
+ There are no comments
Add yours