হাওড়া স্টেশনের ইতিহাস ও সম্প্রসারণ পরিকল্পনা
হাওড়া স্টেশন ভারতের অন্যতম প্রাচীন এবং ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন, যার ইতিহাস দেশীয় রেল পরিকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
*ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তসমূহ*
– *১৮৫৪:* হাওড়া স্টেশন চালু হয়। এটি ভারতের প্রথম রেলওয়ে স্টেশনগুলির মধ্যে একটি।
– *১৯০৫:* নতুন ৬টি প্ল্যাটফর্ম নির্মিত হয়।
– *১৯৮৪:* প্ল্যাটফর্ম সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫ করা হয়।
– *১৯৯২:* নতুন টার্মিনাল তৈরি হয়।
– *২০০৯:* প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৩টি।
– *২০২4 (প্রস্তাবিত):* নতুন প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের মাধ্যমে সংখ্যা হবে ২৪।
*বর্তমান উন্নয়ন প্রকল্প*
*নতুন প্ল্যাটফর্ম এবং সম্প্রসারণ*
1. *১৫ এবং ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সম্প্রসারণ:*
– প্ল্যাটফর্মগুলির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
– দৈর্ঘ্য বাড়লে ২২-২৪ কোচের দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
– ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম আপৎকালীন অ্যাকসিডেন্ট রিলিফ ট্রেনের জন্য ব্যবহৃত হবে।
2. *নতুন ২৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম:*
– স্টেশনের যাত্রী এবং ট্রেনের চাপ কমানোর জন্য নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে।
– এটি ট্রেন পরিচালনায় আরও মসৃণতা আনবে।
*বিশেষ প্ল্যাটফর্ম:*
– *১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম:*
– এটি ‘জিরো মাইল’ হিসেবে পরিচিত, যেখানে শুধুমাত্র পণ্য পরিবহণ করা হয়।
– সম্প্রসারণের ফলে এটি আরও বেশি কার্যকরী হবে।
*যাত্রীসেবা ও ট্রেন পরিচালনার উন্নতি*
– *লোকাল ট্রেন:*
– ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আগে সর্বাধিক ১২ কোচের লোকাল ট্রেন চলত। সম্প্রসারণ শেষে দীর্ঘ কোচের ট্রেন চলাচল সম্ভব হবে।
– *দূরপাল্লার ট্রেন:*
– রাঁচি, পটনা, পুরী, এবং নিউ জলপাইগুড়ি গামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সহ আরও ট্রেন পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
– *টার্মিনাল বদল:*
– শালিমার স্টেশনে কিছু ট্রেন স্থানান্তর করে হাওড়ার চাপ কমানোর চেষ্টা চলছে।
*হাওড়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা*
– ২৩টি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে বর্তমানে হাওড়া দেশের বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম বিশিষ্ট স্টেশন।
– নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি এবং সম্প্রসারণের ফলে স্টেশনটি আরও আধুনিক এবং যাত্রীবান্ধব হবে।
– অর্থবর্ষের মধ্যে উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রেলের উন্নয়নের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করছে।
হাওড়া স্টেশনের এই সম্প্রসারণ এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়ন যাত্রীদের যাতায়াত সহজ করবে এবং ভারতের রেল পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।
+ There are no comments
Add yours