মাঝরাতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলল কয়েকশো লাঠিধারীর তাণ্ডব। জাতীয় পতাকা, আর মুখে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দিয়ে রড, কাচের বোতল, ইট হাতে দাপিয়ে বেড়াল দুষ্কৃতীরা। আর জি কর হাসপাতাল থেকে শুরু করে শ্যামবাজার পর্যন্ত এলাকা ঘণ্টাতিনেক ধরে হয়ে ওঠে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল। রাতে আর জি কর হাসপাতালে যখন হামলা চালানো হয়। তখন সেখানে কর্মরত ছিলেন নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকরা। হামলায় জেরে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে তাঁদের মধ্যে। সকাল থেকে তীব্র বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হাসপাতালের নার্সরা। পুলিশকর্মীদের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা। সকাল থেকে কাজে যোগ দেননি নার্সরা। নিরাপত্তার ব্যবস্থা না হলে কাজে যোগ দেওয়া হবে না বলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নার্সরা। ‘নো সিকিউরিটি নো সার্ভিস’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নার্সিং স্টাফরা।রাতের ঘটনা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন নার্সরা। পুলিশ কোন সহায়তায় করেনি বরং নার্সদের পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ। নার্সদের ছিল হাসপাতালে সমস্ত কিছু ভাঙচুর হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ বেরিয়ে টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে।
গতকাল মাঝরাতে আর জি কর হাসপাতালে একটি দুষ্কৃতীর দল হামলা চালায় আন্দোলনরত পড়ুয়া চিকিৎসকদের উপর। প্রায় পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার বাহিনী। হাসপাতালের একাংশে ভাঙচুর চালায়, জরুরী বিভাগের গেট ভেঙে দেয়, একাধিক যন্ত্রপাতি, ওষুধ পত্র নষ্ট করে দেয়। লাখ লাখ টাকার জিনিস ধুলিসাৎ করে দেয় চোখের নিমেষে। ডিসি (নর্থ ) সহ ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত যে সমস্ত পুলিশ অফিসাররা ছিলেন তাদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকা সত্ত্বেও তারা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সীমিত ক্ষমতায় হামলাকারিদের আটকানোর চেষ্টা করেছেন , কোনো কিছু না ভেবে যতক্ষণ না অতিরিক্ত ফোর্স পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই হামলায় অনেক পুলিশ অফিসাররা গুরুতরভাবে জখম হয়েছে, অনেক পুলিশ অফিসার আহত হয়েছে। যারা এই হামলা চালিয়েছে সেই সব দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়েছে ।তাদের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ দ্রুত কড়া পদক্ষেপ নেবে।