৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুরসভাকে ৩৪৯ হোর্ডিং সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
বিজ্ঞাপনের বহর কমছে না। অথচ সেই বিজ্ঞাপন থেকে টাকাও ঢুকছে না বিধাননগর পুরসভার ভাঁড়ারে। খাতায় কলমে ৩৫১টি হোর্ডিং। কিন্তু মাত্র ২টি থেকে নিয়মিত রোজগার পুরসভার। এই তথ্য দেখে বিষ্মিত হাইকোর্ট। যে সমস্ত সংস্থার হোর্ডিং বাবদ পুরসভা কোনও টাকা পাচ্ছে না, সেই সংস্থাগুলিকে নোটিস দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হোর্ডিং খুলে ফেলার নির্দেশ দিতে হবে, বৃহস্পতিবার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।বিধাননগর পুরসভা এলাকায় বেআইনি হোর্ডিং দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। বিধাননগর পুরসভার তরফে হোর্ডিংয়ের নিয়ম মানার ক্ষেত্রে তৎপরতা দেখানো হচ্ছে না, সেই অভিযোগও উঠেছিল। পুরসভার কাছ থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্টও তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দুদিনের মধ্যে এই বেআইনি হোডিং গুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।
বৃহস্পতিবার ফের মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে বলা হয়েছে, বিধাননগর পুরএলাকায় লাগানো ৩৫১টি হোর্ডিং মধ্যে মাত্র ২টি থেকে নিয়মিত অর্থ পায় পুরসভা। কিন্তু অন্যান্যগুলি থেকে টাকা আদায় এবং প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার ক্ষমতাও রয়েছে পুরসভার হাতে। তারপরেও যে সংস্থাগুলি হোর্ডিং লাগিয়ে টাকা দিচ্ছে না, তাদের ক্ষেত্রে কেন এত নরম মনোভাব নিচ্ছে পুরকর্তৃপক্ষ? প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
পুরসভার উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘মিউনিসিপ্যাল আইনে পুরসভাকে বিস্তর ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে। তারপরও কেন, কাদের বাঁচানোর জন্য পুরসভা এত নরম মনোভাব নিয়েছে?’ এরপরেই হাইকোর্টের নির্দেশ, যে ৩৪৯টি হোর্ডিং থেকে পুরসভা কোনও অর্থ পায় না অথচ তা লাগানো রয়েছে, সেই বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থাগুলিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নোটিস দিতে হবে হোর্ডিং খুলে ফেলার জন্য। সেক্ষেত্রে ওই হোর্ডিং খোলার খরচও সংস্থাগুলির থেকেই আদায় করতে পারবে পুরসভা। একইসঙ্গে যে বা যারা বেআইনি হোর্ডিং দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে পুরসভা।
আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করে ২০ ডিসেম্বর হাইকোর্টকে রিপোর্ট দিতে হবে বিধাননগর পুরসভাকে, নির্দেশ হাইকোর্টের