ময়নাগুড়ি টাউন ক্লাবে বৃহস্পতিবার জনসভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন তিনি মঞ্চ থেকেই লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন।
এবারের ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবারের ভোট কেন্দ্র সরকার নির্বাচনের ভোট নয়, প্রতিবাদের ভোট, প্রতিশোধের ভোট, প্রতিরোধের ভোট। যোগ্য উচিত শিক্ষা দেওয়ার ভোট। ধূপগুড়ি মহকুমা হয়েছে কি না। ধূপগুড়ি ব্লকে ৬০ বেডের গ্রামীণ হাসপাতাল ১০০ বেডের মহকুমা হাসপাতাল হবে। তিন মাস লাগবে কারণ, আজ কালের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে। আর তারপর কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয় না। নির্বাচন শেষ হবে মে মাসে।
সিএএ নিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘ভারতবর্ষের মানুষের সবার কাছ থেকে তো কাগজ চাইছেন, নাগরিকত্ব দেবেন বলে। নিজেদের কাছে কাগজ নেই? নিজেদের কাগজ কোথায়?’ ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বঞ্চনার কথা তুলে তিনি বলেন, ‘আমার চ্যালেঞ্জ আপনি শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। বাংলায় একুশে হেরে যাওয়ার পর ১০ পয়সা দিয়েছেন ১০০ দিনে আর আবাসে প্রমাণ করুন। করলে আমি রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় নেব। হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছি। ৪৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বলছেন। ১০ পয়সা দিয়েছেন প্রমাণ করুন। বিজেপি অনেক বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে। পেপারে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আমার এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছি, ২০২১-এ বাংলায় পরাজয়ের পর কোনও বিজেপি নেতা যদি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দেখাতে পারে আবাসের জন্য ১০ পয়সা কেন্দ্র থেকে পাঠিয়েছে, ১০০ দিনের কাজে ১০ পয়সা পাঠিয়েছে তা হলে আমার সঙ্গে বিজেপি নেতা যে কোনও সংবাদমাধ্যমে বসতে পারে। এরপর বিজেপি এক্স হ্যান্ডেলে লিখব কোনও নেতা পাঠাবে না। ওরা যুব মোর্চার কর্মীদের পাঠাবে। আমিও পাল্টা লিখলাম, আমার সভা আছে ময়নাগুড়ি টাউন ক্লাব মাঠে। ৩টের সময় দয়া করে বিজেপির কেউ আসতে চাইলে তথ্য় পরিসংখ্যান নিয়ে আসতে। কেউ কি এসেছে বিজেপির? কেউ এসেছে নাকি? আমি তো দুটো পোর্ডিয়ামও রেখেছি। একদিকে বিজেপির নেতা দাঁড়াবে, একদিকে আমি। এসেছে নাকি যুব মোর্চার কার্যকর্তা কেউ?’
অভিষেক বলেন, ‘ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ৫ দিন আগে শিলিগুড়ি এসে বলেছেন, মোদী কা গ্যারান্টি। ৫ বছরে তো জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে বিজেপির সাংসদ রয়েছে। এই তিন জেলা মিলিয়ে কম করে হলেও ৭ হাজার বুথ হবে। ৫ বছরে একটা বুথেও মানুষের জন্য পর্যালোচনা বৈঠক করেছে বলে দেখান, আমি তৃণমূলের হয়ে ভোট চাইতে আসব না। মানুষ চাইলে এদের দম্ভ ভাঙতে ৫ মিনিট লাগবে না। গণতন্ত্রে শেষ কথা মানুষ বলে। কোনও নেতা বলে না। ২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সামনে রেখে ভোট দিয়েছিলেন, হয়েছে। ২০২৩-এর পঞ্চায়েতে আমি সর্বত্র গিয়ে অনুরোধ করেছিলাম ১০০ দিনের টাকা যাতে পান সেই অধিকার সামনে রেখে দিন। ভোট দিয়েছেন। ১০০ দিনের টাকা পেয়েছেন কি না বলুন?’