জবর দখল উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। নিউ মার্কেট ,ধর্মতলাতে ব্যাবসায়ী হকার দের মধ্যে তীব্র সংঘাত বাঁধে, মারধর ,ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যাই । প্রায় আধ ঘন্টার উপরে দু পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ চলতে থাকে । হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এরকম পরিস্থিতিতে ধর্মতলা ও মৌরালি সংযোগকারী এস এম ব্যানার্জী রোড বন্ধ হয়ে যায়,।যান চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়ে। যান চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য দফায় দফায় মাইকে ঘোষণা করতে হলো পুলিশ কে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই পুলিশ ও পুরসভার জবর দখল সরকারি জমি উচ্ছেদ অভিযানে গোটা রাজ্য যখন সরগরম তখন হটাৎ করে নিউমার্কেট ধর্মতলাতে ব্যাবসায়ী হকারদের মধ্যে এরকম সংঘাত কেনো? মারাত্মক অভিযোগ করেছেন নিউমার্কেট এর ব্যাবসায়ীরা….. হকারদের পক্ষ থেকে স্থায়ী ব্যাবসায়ীদের হুমকি দেয়, পার্কিং নিয়ে জোর জবরদস্তি। হেনাস্থা পর্যন্ত করা হয়।
নিউ মার্কেটের শ্রীরাম আর্কেডের ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ….. তাদের সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি পার্কিং এ গাড়ি রাখতে গেলে কয়েকজন হকার তাকে বাঁধা দেয়। পার্কিং এর জায়গায় তাদের ডালা রাখতে চেয়েছিল আপত্তি করায় শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েসেন এর জেনারেল সেক্রেটারীকে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। প্রতিবাদ করাতে হকাররা ব্যাবসায়ীদের হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। নিউ মার্কেটের হকার ইউনিয়ন এর নেতা যদিও এই ঘটনায় ব্যাবসায়ীদের দোষ দিয়েছেন। এ বিষয়ে ফিরহাদ হাকিমার কাছে অভিযোগ জানালে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। মারধরের বিরুদ্ধে তাড়াতাড়ি ব্যাবস্থা নিতে হবে এই দাবি নিয়ে প্রথমে ধর্মতলার গ্রান্ড হোটেলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় পরে নিউমার্কেট থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। কিছুক্ষণ এর মধ্যে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে পরিস্থিতি উতপ্ত হয়ে উঠে। তাদের মাঝখানে থেকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।