অমিত শর্মা : মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের হাথরস জেলায়। মঙ্গলবার সিকান্দরারাও থানার অন্তর্গত ফুলরাই গ্রামে এক সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে ‘ভোলে বাবা’ নামে এক ধর্মগুরুর বক্তৃতার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিপুল সংক্ষ্যক মানুষের জমায়েত হয়। ওই ধর্মগুরুর ভাষণ দেওয়া শেষ হতেই, বের হওয়ার জন্য ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেই হুড়োহুড়ির মধ্যে পরে গিয়ে একের পর এক ভক্তের মৃত্যু হয়।
এখনো পর্যন্ত ৮৭ জনের মতো মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য এবং পরবর্তী পক্রিয়ার জন্য ইটা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ইটার চিফ মেডিকেল অফিসার জানিয়েছেন, ২৭ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।এর মধ্যে দুজন পুরুষ ,বাকিরা মহিলা বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইটার এসএসপি রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ১ জন পুরুষ, ৩ জন শিশু এবং ২৩ জন মহিলা।কাজেই মৃতদের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন।
সুনিল যাদব : হাতরসের দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২৬। মর্গে লাইন ধরে পরে রয়েছে রক্তে ভেজা মৃতদেহ গুলি। সেই হাথরসের মর্গে কর্তব্যরত কন্সটেবলের মৃত্যু হল মৃতদেহ দেখেই। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, হার্ট অ্যাটাক হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশ কর্মীর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এটাই জেলার অওয়াগড় পুলিশ স্টেশনের মৃত ওই কন্সটেবলের নাম রবি কুমার। তিনি ওই মৃত দেহগুলি পাহাড়ার দায়িত্বে ছিলেন।
এদিন কন্সটেবল রবি কুমার মর্গে কিউঅরটি ডিউটি অবস্থায় থাকার সময় লাশের পর লাশের ভয়াবহ দৃশ্য দেখে তার বুকের ভিতরে অস্বস্তি বোধ করে। ডিউটি অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর সহকর্মীরা পরনের ইউনিফর্ম খুলে ফেলে এসি রুমে নিয়ে গেলেও আর শেষ রক্ষা হয়নি।