গত 5 ই জুলাই দশম শ্রেণীর এক পড়ুয়া সৌভিক বিশ্বাস , সে পিটির পোশাক পড়েছিল। কেমিস্ট্রি ল্যাবে যখন শেষ স্প্লিন্টার ব্যবহার করছিল হঠাৎই তা ফেটে আগুন লেগে যায়। তার সারা দেহ আগুনে যখন পুড়ছিলো । শিক্ষকরা কোনরকম তাকে সাহায্য করতে আসেনি সেই আগুন নেভানোর জন্য। বাচ্চার মত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল। ঐ পড়ুয়া বলেছে অভিক স্যার এবং সূরাজ স্যার এমন ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন যেন কিছুই হয়নি ঐ স্কুলের অভিক রায় স্যার অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র কাজ করেনি বলে , আরো অন্যান্য কারণে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সেই অবস্থায় সৌভিক পাগলের মত গায়ে আগুন নিয়ে এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছিল কিন্তু সে অবস্থায় তাকে স্কুলের কেউ কোনো কর্তৃপক্ষ সাহায্য করেনি সে কান্না করছিল। যখন ঘটনাটি ঘটে সাড়ে বারোটা নাগাদ তখন তাকে কোন সহকারী বা ডাক্তার ছাড়াই নার্স রুমে রাখা হয়েছিল। শুধু কিছু বরফ ছিল যা সে একা একা তার শরীরে লাগাচ্ছিলশুধু কিছু বরফ ছিল যা সে একা একা তার শরীরে লাগাচ্ছিল। সে চিৎকার হঠাৎই। সে তখন পি পি এল কে ডাকে তার মাকে খবর দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা বলেছিল …”আমরা করব না তুমি যা চাও তাই কর”
তারপরে তাকে পড়ুয়াকে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে স্থানান্তরিত করেন ,ছ ঘন্টা পরে যথাযথ ভাবে ওষুধ দেওয়া হয়, এবং যখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ডাক্তাররা তাকে ১০% বেঁচে থাকার সুযোগ দিয়ে শেষ ৪৮ ঘন্টা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই পড়ুয়ার ঈশ্বরের কৃপায় বেঁচে ছিলেন।
আজকে অনেক অভিভাবক সেই স্কুলে গিয়েছিলেন তারা অগাস্টিনের ব্যবস্থাপনার উপর ধিক্কার জানিয়েছেন। স্কুল ম্যানেজমেন্ট তার কাকাকে কেনার চেষ্টা করেছিল এবং তিনি এফআইআর তুলতে অস্বীকার করেছিলেন। হয়তো তার বাবা এবার সাহায্য করবে এই কেসটা কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন ওই স্কুলের অনেক পড়ুয়ার অভিভাবক।
কুলে পড়ুয়ারা নিজেদের ভবিষ্যৎ তৈরি করতে যাই, কিন্তু নর্থ ২৪ পরগনার এই স্কুলে পড়ুয়া নিজের জীবন গড়তে গিয়ে যদি সেই জীবন বিপদে পড়ে তাহলে তারা কিভাবে পড়াশোনা করবে?
নর্থ চব্বিশ পরগনার সেরা স্কুল হয়েও যদি এরকম লজ্জাজনক কাজ করে কোন ভরসায় অভিভাবকেরা ভর্তি করবে স্কুলে?

Asia News https://asianewslive.in

Asia News is a digital news platform that brings Asia to the global online audience.

You May Also Like

More From Author