ইজরাইলের ভয়ংকর রকেট হামলায় একটি স্কুল তছনছ হয়ে গিয়েছে শনিবার। প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক। আহত বহু।গাজ়ার অসামরিক প্রতিরক্ষা এজেন্সির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহরের পূর্ব প্রান্তের দরজ জেলার বাস্তুচ্যুত বহু মানুষ স্কুলটিতে আশ্রিত ছিলেন। সেখানেই শনিবার রকেট হামলা চালায় ইজ়রায়েল। হামাস চালিত গাজ়ার একটি সরকারি সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোরের প্রার্থনার সময় স্কুলে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এফপি সংবাদসংস্থার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজ়ার অসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল একটি টেলিগ্রাম পোস্ট করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘গাজ়ার আস শাবাবা এলাকার আল তাবাইয়েন স্কুলে ইজ়রায়েল বোমা বর্ষণ করেছে। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে স্কুলে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা চালানো হয়। একাধিক দেহ উদ্ধার করা হয়েছে স্কুলের ভিতর থেকে। প্রচুর মানুষ গুরুতর আহত। এই হামলা ভয়ঙ্কর।’
পাল্টা একটি বিবৃতি জারি করেছে ইজ়রায়েল সেনাও। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, হামাস কমান্ডার এবং জঙ্গিদের ঘাঁটিতেই এয়ার স্ট্রাইক হয়েছে। ইজ়রায়েলি এয়ার ফোর্স আল তাবিয়েন স্কুলে এয়ার স্ট্রাইক করেছে ঠিকই তবে সেটি ছিল জঙ্গিদের কমান্ড সেন্টার। যাদরজ তুফা মসজিদ সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত ছিল। মসজিদে গাজ়ার মানুষদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল, স্কুলটিতে নয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রকেট হামলার আগে সাধারণ মানুষের যাতে কোনওরকম বিপত্তি না ঘটে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। কোনও অস্ত্রের ব্যবহারে গাজ়ার বাসিন্দাদের ক্ষতি না হয়, সেটিও খতিয়ে দেখে নেওয়া হয়েছিল। আকাশপথে সে কারণে আগেভাগেই নজরদারি চালানো হয়েছিল। সংগ্রহ করা হয়েছিল পর্যাপ্ত ইন্টালিজেন্স তথ্য ও।
এর আগে বৃহস্পতিবারও একইভাবে গাজ়ায় রকেট হামলা চালায় ইজ়রায়েল। যাতে ১৮ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। গাজ়ার দু’টি শহরে এই বোমা বর্ষণ হয়। যদিও ইজ়রায়েলের একই বক্তব্য, সাধারণ মানুষ নয়, তারা হামলা চালিয়েছে হামাসের কমান্ড সেন্টারগুলিতে।