আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। নিহত নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার সকলে। এর মাঝেই ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট দেখে শিউরে উঠছেন দেশের মহিলারা। প্রতি ঘণ্টায় এ দেশে ধর্ষিতা হন চারজন মহিলা! চমকে দেবে ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের ক্রাইম রিপোর্ট।
২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৮৬টি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে! তার মধ্যে ৮২টি ক্ষেত্রেই ধর্ষক নির্যাতিতার পূর্বপরিচিত!ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনই একটি রিপোর্ট.
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হিসেব বলছে.প্রতি ঘণ্টায় দেশে চারটি করে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়। তার মধ্যে তিনটি মামলায় ধর্ষিতা আগে থেকে অভিযুক্তকে চিনতেন।২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে মোট ১ লাখ ৮৯ হাজার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতিতার সংখ্যা ১ লাখ ৯১ হাজার। এর মধ্যে ১ লাখ ৭৯ হাজার মামলায় ধর্ষক নির্যাতিতার পূর্বপরিচিত। ৯ হাজার ৬৭০টি মামলায় ধর্ষকে আগে থেকে চিনতেন না নির্যাতিতা।ভারতে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের শিকার। এমনটাই উঠে এসেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্টে। প্রতিদিন যে ৮৬টি ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে দেশে, তার মধ্যে ৫২টি ক্ষেত্রে নির্যাতিতার বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। বাকি নিত্যদিনের ৩৫টি ধর্ষণের মামলায় বয়সের তারতম্য দেখা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রের তুলনায় অন্যস্থানে ধর্ষণের সংখ্যা বেশি। গড়ে প্রতিদিন একজন করে মহিলা কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার শিকার হন।
দা সেক্সুয়াল হারাসমেন্ট অফ ওমেন এড ওয়ার্ক প্লেস(প্রিভেনশন প্রহিবিটিশন এন্ড রেড্রেসাল) এক্ট 2013অনুযায়ী, প্রতিটি অফিসে ১০ জনের একটি ইন্টারনাল কমিটি গঠন করা বাধ্যতামূলক। এই কমিটি কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের উপর হওয়া যৌন হেনস্থার মামলাগুলি খতিয়ে দেখে। কমিটির কাছেই নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারেন নির্যাতিতারা।