আরজি কর কান্ডের মামলায় এদিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি জানান, এটা একটা শুধু খুনের মামলা নয়। গোটা দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়। প্রশ্ন তুলেছেন তরুন চিকিৎসক, ইন্টার্ন, বিশেষ করে মহিলা চিকিৎসকদের কর্মস্থলের সুরক্ষার বিষয়ে। সুরক্ষার জন্য তৈরি হওয়া উচিৎ একটা প্রোটোকল। এমন প্রোটোকল তৈরি করতে হবে যা শুধু খাতায়-কলমে থাকলে হবে না।
এরপরেই বড় প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। রাত ১১.৪৫ মিনিটে প্রথম অভিযোগ দায়ের কেনো ? কে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছে আমিরা জানতে চাই ?
এর উত্তরে কপিল সিব্বাল বলেন, রাত ১১.৪৫ মিনিটে প্রথম অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বাবার তরফে। এরপরের প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের কটার সময় দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে ? সিব্বাল জানায়, রাত ৮.৩০ টায় দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের জানতে চায় দেহ হস্তান্তরের ৩ ঘন্টা পর এফআইআর দায়ের করা হল কেন ? এদিন প্রধান বিচারপতি শুরুতেই বলেছেন, আরজি করের ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়, নারী নিরাপত্তার বিষয়। তাই নিরপত্তা নিশ্চিত করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা বলেন। সুপ্রিমের নির্দেশের পরেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠন করা হচ্ছে ওই টাস্ক ফোর্স।
আরজি কর কান্ডের পর নিরাপত্তা অভাব বোধ করায় অনেক নার্স ও চিকিৎসক হোস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। হাসপাতালে ও হোস্টেলে নিশ্চিত করতে সিআইএসএফ মোতায়েন করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। অপরদিকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা শুরুর আগেই আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করল কলকাতা পুলিশ।