পথ জুড়ে এখন শুধুই শোক প্রতিবাদ মিছিল। এক মায়ের সন্তান বিয়োগ যেন বঙ্গবাসীকে আত্মীয়-হারা করে তুলেছে। লজ্জায় মাথা হেট বাঙালির। এখন শুধুই বিচার চাই বাংলা; লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নেওয়ার সময় ভাবুন, ঘরের লক্ষ্মী সুরক্ষিত তো ? প্রশ্ন তুলেছিলেন আর জি করের নির্যাতিতার মা। এবার সেই প্রশ্নেরই অনুরণন আম আদমির মধ্যেও । সামনেই শারদোৎসব। আর সেই উপলক্ষ্যে বাংলার বহু ক্লাবকেই ৮৫ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদানের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে সুবিচারের দাবিতে, রাজ্য সরকারের অনুদান না নেওয়ার কথা জানাল আরও পুজো কমিটি। উত্তরপাড়ায় শক্তি সঙ্ঘ, দক্ষিণ কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক উৎসব কমিটির প্রত্যাখ্যানের পথে হাঁটলেন জেলার আরও কয়েকটি পুজোর উদ্যোক্তারা।রাজপথ থেকে অলিগলি। আর কিছুদিন পর যার উৎসবের আলোর ঢাকার কথা। সেই পথজুড়ে এখন শুধুই শোক, দুঃখ, প্রতিবাদের ছবি।আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে উত্তরপাড়া জয়কৃষ্ণ স্ট্রিটের ‘আপনাদের দুর্গাপূজা’ বারোয়ারি ও নদিয়ার বেথুয়াডহরি টাউন ক্লাবও সরকারি অনুদান প্রত্যাখানের সিদ্ধান্ত নিল। এর আগে হুগলির উত্তরপাড়ার শক্তি সংঘ, দক্ষিণ কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক উৎসব কমিটিও অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছিল।
পুজোয় সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করবে না বলে জানিয়েছে হুগলির তারকেশ্বরের মা শারদ জননী দুর্গোৎসব কমিটি। স্থানীয় আস্থারা গ্রামে মহিলাদের তারা এই পুজো পরিচালিত হয়। এবার আরজিকর কান্ডের দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন মহিলা উদ্যোক্তারাও। পুজো কমিটির সদস্য ও বর্ণালী জানান, এবছর এরকম এক পরিস্থিতিতে আমাদের পূজোর অনুদান নেওয়ার আর ইচ্ছে নেই তাই আমরা আবেদন করিনি। আমরা চাই যারা এই কাণ্ডের দোষী তারা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়। এটাই আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি