টানা বৃষ্টির জেরে, মালদার বিস্তীর্ণ এলাকার জলের তলায়। চরম ভোগান্তির শিকার লক্ষাধিক মানুষ
গঙ্গার রিং বাঁধ ভেঙে প্লাবিত মালদার মানিকচকের ভুতনির বিস্তীর্ণ এলাকা। কুড়ি দিন ধরে জলবন্দি প্রায় এক লক্ষ মানুষ। স্কুল কলেজ স্বাস্থ্য কেন্দ্র সবই জলের তলায়।
দু’বছর আগে মুল বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছিল তারপরে প্রশাসনের তরফ থেকে রিং বাঁধ দেওয়া হয়। কিন্তু ক্রমাগত গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি হয় সেই রিং বাঁধও ভেঙে যায়। আর সে ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে ক্রমাগত জল মানিকচকের ভূত্নী এলাকায় প্রবেশ করতে থাকে একাধিক গ্রাম স্কুল কলেজ সবকিছু জলের তলায় চলে যায়। মালদা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ১৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয় সেখানে লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নেয়।তবে এখনও বেশিরভাগ মানুষই রয়েছেন তাঁদের বাড়িতে। উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত পুরোপুরি বিপর্যস্ত। দক্ষিণ চণ্ডীপুর হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ এলাকায় জলমগ্ন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ যেভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে বর্ষাকালে, তা কোনটাই কাজে লাগছে না সবটাই জলে চলে যাচ্ছে। এত টাকা ব্যয় করেও সেই বাঁধ জল আটকাতে পারছে না। বাঁধ ভেঙ্গে জল ঢুকে যাচ্ছে। ফলত সাধারণ মানুষদের ক্ষোভ বাড়ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ জলবন্দী সাধারন মানুষের। এ নিয়ে শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তর্ক বিতর্ক।
বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেন, “এটা ম্যানমেড বন্যা। প্রশাসন পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ দিচ্ছে কিন্তু সেই ত্রাণ লুটপাট করে নিচ্ছে তৃণমূলের লোকেরা। জেলা সিপিএম নেতা দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, “ব্লক ও জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ পাঠাচ্ছে কিন্তু ভূতনির তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি বিজেপির দখলে এবং একটি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। অধিকাংশ সদস্য তাদের। ত্রাণ নিয়ে দলবাজি করছেন তাঁরা। লুটপাট হয়ে যাচ্ছে ত্রাণ। প্রশাসনের এই বিষয়ে দ্রুত নজর দেওয়া উচিত।’
বিরোধীদের এই অভিযোগ যদিও মানতে রাজি নয় মানিকচকের তৃনমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র।
তিনি বলেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে কোথাও কোন অভিযোগ নেই। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই ত্রান বন্টনের ব্যবস্থা করেছি।নৌকায় বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করলেন মালদার জেলাশাসক। তিনি জানিয়েছেন, “এলাকার মানুষের যাতে কোন ও সমস্যা না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।