নতুন করে আবার ‘রান্নাঘর’ শুরু হতে চলেছে। তবে সেখানে নেই সুদীপা, তাঁর বদলে সঞ্চালিকার ভূমিকায় বাংলা বিনোদন জগতের আর এক চেনামুখ কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
#RannaghoreReturns
#KoneenicaBandyopadhyay
#SudipaChattopadhyay
#NewHost
#CookingShow
#TVEntertainment
#BanglaTelevision
#HostChange
#CookingShowDrama
#SudipaReaction#asianews#asianewslive
প্রতিদিন বিকেল হলেই মুখে হাসি, বাহারি শাড়ি, গা ভর্তি গয়নায় সেজে বছরের পর বছর ধরে জি বাংলার ‘রান্নাঘর’-এর দায়িত্ব সামলেছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। তিনি অভিনয়ও করেছেন, সঞ্চালনও কিন্তু দর্শকদের কাছে তিনি সবচেয়ে বেশি যে কাজের জন্য পরিচিত তা হল ‘রান্নাঘর’। তবে বেশ কিছু মাস হয়েছে শেষ হয়েছে ‘রান্নাঘর’। সুদীপা এখন তাঁর নিজের কুকারি শো ‘সুদীপার সংসার’ নিয়ে ব্যস্ত। পাশাপাশি জি বাংলায় চলছিল অন্য এক কুকারি শো ‘রন্ধনে বন্ধনে’। কিন্তু এর মাঝেই খবর নতুন করে আবার ‘রান্নাঘর’ শুরু হতে চলেছে। তবে সেখানে সঞ্চালিকার ভূমিকায় থাকছেন না সুদীপা, তাঁর বদলে সঞ্চালিকার ভূমিকায় বাংলা বিনোদন জগতের আর এক চেনামুখ কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে তিনি আবার সুদীপার ভাল বন্ধু। সবটা নিয়ে সুদীপার কী প্রতিক্রিয়া?
মন কি খারাপ সুদীপার? টিভিনাইন বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, খুব মন খারাপ লেগেছিল। আসলে আমার পরিচয়ই তো ওই রান্নাঘর দিয়েই। আমি আরও অনেক কাজ করেছি। কিন্তু লোকে মনে রাখেনি। হয়তো মনে রাখার মতো কিছু করিনি বলেই রাখেনি। আমাকে দেখলেই লোকে বলে, ওই যে সুদীপা যে ওই রান্নাঘর করত।’এরপর তিনি জি বাংলার নতুন শো ‘রন্ধনে বন্ধনে'(গৌরব চক্রবর্তী ও রিদ্ধিমা ঘোষ সঞ্চালিত আর এক রন্ধনবিষয়ক নন ফিকশন শো)-এর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘প্রথম যখন রন্ধনে বন্ধনের প্রোমো দেখেছিলাম তখন বাচ্চাদের মতো কেঁদে ফেলেছিলাম। আর এ ক্ষেত্রেও যখন দেখলাম আমারই বান্ধবী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় হোস্ট করছে তখনও খুব দুঃখ লেগেছে। শুধু মনে হয়েছে রান্নাঘর হচ্ছে অথচ আমি নেই! আসলে এই শো’টার সঙ্গে তো টাকাপয়সার সম্পর্ক নেই শুধু, বাড়ির থেকে জিনিসপত্র নিয়ে এই শো শুরু করেছি। নিজে বাসন মেজেছি। শুধু মনে হয়েছে ওটা তো আমারই রান্নাঘর।’
তবে এই দারুণ মন খারাপে সুদীপা পাশে পেয়েছেন তাঁর স্বামী অগ্নিদেবকে। সুদীপার কথায়, ‘অগ্নিদেব আমাকে বুঝিয়েছেন যা শুরু হয় তার তো শেষ হবেই। তুমি বরং দুঃখ কোরো না, ওদের শুভেচ্ছা জানাও। আমারও তখন মনে হল, হ্যাঁ ঠিকই তো, কনি তো আমার বন্ধু, সুগৃহিণীও। হয়তো ও করলে অন্যরকম একটা স্বাদ আসবে। আসলে আমি বা অপাদি (অপরাজিতা আঢ্য) অনেকটা একই রকম, তাই আমি আবারও এলে হয়তো মানুষের মধ্যেও একঘেয়েমি চলে আসত। ওঁরাও হয়তো বিরক্ত হতেন, বলতেন— ওই সুদীপার এক কথা, এক শাড়ি… তার চেয়ে হয়তো এই ভাল। কনি এলে নতুন কিছু হবে। স্বাদবদল হবে।’
তবে সুদীপা জানান সঞ্চালিকা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর কনীনিকার পক্ষ থেকে তিনি কোনও ফোন পাননি। সেই বিষয়টা নিয়ে তাঁর একটু খারাপ লাগা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে সুদীপা বলেন, ‘ও আমাকে ফোন করেনি বলে সত্যিই অভিমান হয়েছিল, মনে হচ্ছিল, কেন অন্যের কাছ থেকে শুনতে হল? এত ভাল বন্ধু, কেন আমাকে বলেনি? পরে যদিও ওর জায়গায় নিজেকে রেখে ভাবলাম, সত্যিই তো ফোন করে কী বা বলত ও আমায়? যদি ওটা শুনে আমিও ভ্যা করে কেঁদে দিতাম, তখন? আরও বাজে পরিস্থিতি হত।