আইসিবিএম উৎক্ষেপণের কথা প্রথমবারের মতো স্বীকার করলো চীন, ড্রাগনের গতিবিধি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
#ChinaICBM#BallisticMissile#DefenseNews#GlobalSecurity#ChinaMilitary#NuclearCapabilites#GeopoliticalTensions#MissileLaunch#PacificRegion#PLA#MilitaryModernization#NuclearStrategy#InternationalRelations#PentagonReport#SecurityConcerns#asianews#asianewslive
ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) সফলভাবে উৎক্ষেপণের কথা প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে স্বীকার করলো চীন। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রশান্ত মহাসাগরে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘নকল বিস্ফোরকসহ আইসিবিএমটি স্থানীয় সময় ৮টা ৪৪মিনিটে পিপল’স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) উৎক্ষিপ্ত করে। এটি সফলভাবে সাগরের প্রত্যাশিত অংশে পতিত হয়েছে।
এই উৎক্ষেপণ বাৎসরিক মহড়া প্রশিক্ষণের অংশ দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, কোনও দেশ বা লক্ষ্যবস্তুর উদ্দেশ্যে ক্ষেপণাস্ত্র চালানো হয়নি।রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আশেপাশের দেশগুলোকে আগে থেকেই সতর্ক করে রেখেছিল বেইজিং। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের গমন পথ বা প্রশান্ত মহাসাগরে পতনের স্থান, কিছুই জানায় নি তারা।
চীনের প্রথাগত ও পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত আছে দ্য পিএলএ রকেট ফোর্স। মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে পারমাণবিক সক্ষমতার আধুনিকায়নের জন্য কাজ করে এই ফোর্স। এছাড়া নজরদারি দক্ষতা ও মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধিতেও তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
তবে চীন প্রতিরক্ষার কথা বললেও, তারা মাত্রাতিরিক্ত পারমাণবিক শক্তিধর হয়ে উঠছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ অভিমত দিয়েছেন।
বেইজিং অবশ্য দাবি করে থাকে, পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে তারা ‘প্রথমে ন’ নীতি মেনে চলে। অর্থাৎ, তারা কখনও প্রথম আক্রমণ চালাবে না।
গত বছর পেন্টাগন এক প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, চীনের অস্ত্রভাণ্ডারে ৫ শতাধিক সক্রিয় নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড রয়েছে, যার প্রায় ৩শ’ ৫০টি আইসিবিএম। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার হাতে যথাক্রমে আছে ১হাজার ৭শ ৭০ এবং ১ হাজার ৭শ’ ১০টি ওয়ারহেড। ২০৩০ সাল নাগাদ বেইজিংয়ের হাতে সহস্রাধিক ওয়ারহেড থাকার সম্ভাবনা আছে বলে আশঙ্কা পেন্টাগনের।