আইপিএলের নিয়মে বড়সড় বদল হলো।নেওয়া হলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
অবশেষে সব জল্পনার অবসান। আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিল আইপিএল ২০২৫-এর নিলামের আগে কতজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।শনিবার বেঙ্গালুরুতে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন আইপিএলের সবকটি দলের কর্তারা। সেখানেই দীর্ঘ বৈঠকের পর রিটেনশন পলিসি ঠিক হয়। যেখানে আনা হয় বড় পরিবর্তন।আইপিএল ২০২৫-এর নিলামের আগে প্রতিটি দল বর্তমান স্কোয়াড থেকে ৬ জন প্লেয়ারকে রাখতে পারবে। তবে এই ৬ জন ধরে রাখার নিয়মে রয়েছে দুটি ভাগ। ৫ জন ক্রিকেটার ধরে রাখা যাবে রিটেনশন পদ্ধতির মাধ্যমে।একইসঙ্গে রাইট টু ম্যাচ কার্ডের নিয়মও ফিরেছে আইপিএলে। মাত্র একজন ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে আরটিএম কার্ড। কোনও দলের প্লেয়ার যাকে রিলিজ করা হয়েছিল, কিন্তি নিলামে তাঁকে অন্য দল কিনে নেয়, তেমন একজনকে আরটিএম কার্ড ব্যবহার করে পুরোনো দলে ফের কিনতে পারবে।রিটেনশন ও আরটিএম মিলিয়ে ৬ জনের মধ্যে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হওয়া সর্বাধিক পাঁচজন থাকতে পারবেন এবং জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক না হওয়া সর্বাধিক দু’জন থাকতে পারবেন।
ম্যাচ ফি বাবদ প্রতিটি খেলোয়াড়কে ৭.৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। ইমপ্যাক্ট সাবদের জন্যও এই একই টাকা দিতে হবে। এর জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি মোট ১২.৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। এই ঘোষণায় আরেকটি বিষয়ও স্পষ্ট হয়ে গেল যে, রোহিত-কোহলিদের বিরোধ সত্ত্বেও আসন্ন তিন মরশুমের জন্য ইমপ্য়াক্ট সাবের নিয়ম অব্যাহত থাকছে।
আরেকটি বড় ঘোষণা করা হয় , যার দিকে সিএসকে সমর্থকরা বেশি করে তাকিয়ে ছিল, সেটি হল আনক্যাপড ক্রিকেটারের নিয়ম। কারণ অবশ্যই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে কোনও ক্রিকেটার, উক্ত আইপিএল মরশুমের আগের পাঁচ বছরে যদি কোনও আন্তর্জাতিক দলের প্রথম একাদশে না থাকেন, বা তাঁর যদি বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কোনও বার্ষিক চুক্তি না থাকে, তাহলে তাঁকে আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসাবে গণ্য করা হবে। তবে এই নিয়মটা কেবলই ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্যই প্রযোজ্য হবে ।